নাচোলে নির্দেশনা অমান্য করে সাপ্তাহিক হাট

প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের সংক্রমণ, মৃত্যু ও ভারতীয় ভ্যারিয়েন্ট রোধে দেশের সীমান্তবর্তী জেলা চাঁপাইনবাবগঞ্জে ১৪ দিনের কঠোর লকডাউন শেষে এখন চলছে বিশেষ ১১টি বিধিনিষেধ। এর আওতায় সব ধরনের সাপ্তাহিক হাট-বাজার বন্ধ রাখার নির্দেশনা দিয়েছে জেলা প্রশাসন।

নির্দেশনা অমান্য করে নাচোল উপজেলার ফতেপুর ইউনিয়নের মল্লিকপুরে হাট বসান ব্যবসায়ীরা। পরে ইউপি চেয়ারম্যানের নির্দেশে গ্রামপুলিশের তৎপরতায় হাট বন্ধ করা হয়।

শনিবার (১২ জুন) বিকেল ৪টা থেকে ৫টা পর্যন্ত ঘণ্টাব্যাপী চলে নাচোল উপজেলার সবচেয়ে বড় হাট মল্লিকপুর। এ সময় গরুর হাট বসে ব্যাপকভাবে। গরুর হাট ছাড়াও কাঁচা বাজার, মসলা, পোশাকের দিকেও বেশ ভিড় ছিল। গাদাগাদি করে বাজার করছিল ক্রেতারা।

পরে ফতেপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সাদির আহমেদ নিজে উপস্থিত হয়ে গ্রামপুলিশের সহযোগিতা নিয়ে হাট বন্ধ করে। গ্রামপুলিশ সদস্য সাহিন আলী ঢাকা পোস্টকে জানান, ইউপি চেয়ারম্যানের নির্দেশে হাট বন্ধ করা হয়েছে। এ সময় কয়েকজন ব্যবসায়ী বাধা দিয়েছেন। তবে চেয়ারম্যানের উপস্থিতির কারণে ঝামেলা ছাড়াই হাট বন্ধ করা হয়। 

সাবেক হাট ইজারাদার মো. তরিকুল ইসলাম বলেন, হাট ইজারাদার কমিটির অনুমোদন ছাড়াই ব্যবসায়ীরা হাট বসিয়েছিলেন। ঘণ্টাখানেক হাট চালু ছিল। পরে চেয়ারম্যানের হস্তক্ষেপে বন্ধ করা হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, একদিন বন্ধ থাকলে এই হাটের ইজারাদারদের লক্ষ লক্ষ টাকা ক্ষতি হয়। অথচ প্রশাসনের নির্দেশনা মেনে তারা হাট বন্ধ রাখছেন। কিন্তু গরু, মসলা ও তরকারির ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা নির্দেশনা না মেনে হাট বসিয়েছে। প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের ভয়াবহ অবস্থায় এভাবে হাট বসানো ঠিক হয়নি।

ইউপি চেয়ারম্যান সাদির আহমেদ ঢাকা পোস্টকে বলেন, জেলা প্রশাসনের কঠোর বিধিনিষেধের আওতায় সাপ্তাহিক হাট-বাজার বসানো যাবে না। তারপরেও কিছু ব্যবসায়ী হাট বসিয়েছিল। মাইকিং করে তাদেরকে অনুরোধ করলেও না শুনলে গ্রামপুলিশের সহযোগিতা নিয়ে হাট বন্ধ করা হয়। 

জাহাঙ্গীর আলম/এমএসআর