অবশেষে সদর থানার ওসি মাহফুজার রহমান বদলি
মাহফুজার রহমান
গাইবান্ধায় জুতা ব্যবসায়ী হাসান হত্যার ঘটনাকে কেন্দ্র করে সদর থানা পুলিশের দায়িত্বহীনতা নিয়ে দীর্ঘদিন আন্দোলন করে আসছিল বিভিন্ন সামাজিক ও রাজনৈতিক সংগঠন। হাসান হত্যার প্রতিবাদ মঞ্চের উদ্যোগে হাসান আলী হত্যার সঙ্গে জড়িতদের গ্রেফতার ও সদর থানার ওসির অপসারণসহ ৪ দফা দাবি বাস্তবায়নে পালিত হয় হরতালের মতো কর্মসূচি।
অবশেষে সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহফুজার রহমানকে বদলি করা হয়েছে। পুলিশ সদর দফতরের এক আদেশে তাকে রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশে সংযুক্ত করা হয়েছে।
বিজ্ঞাপন
রোববার (১৩ জুন) বিকেলে জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ তৌহিদুল ইসলাম বদলির বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি জানান, পুলিশ সদর দফতরের এক আদেশে জনস্বার্থে ওসি মাহফুজুর রহমানকে রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশে বদলি করা হয়েছে।
এ ব্যাপারে হাসান হত্যার প্রতিবাদ মঞ্চের সমন্বয়কারী আমিনুল ইসলাম গোলাপ বলেন, ওসির বদলি কোনো সমাধান নয়। তাকে আইনের আওতায় এনে শাস্তির দাবি জানাচ্ছি। এ ছাড়া হাসান হত্যার সঙ্গে জড়িতদের গ্রেফতার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি না হওয়া পর্যন্ত আমাদের এ আন্দোলন চলমান থাকবে।
বিজ্ঞাপন
প্রসঙ্গত গাইবান্ধার বিশিষ্ট ব্যবসায়ী হাসান আলীকে অপহরণ করে বাড়িতে টানা এক মাস পাঁচ দিন আটক রাখেন দাদন ব্যবসায়ী জেলা আওয়ামী লীগের বহিষ্কৃত নেতা মাসুদ রানা। পরে হাসানের স্ত্রী তার স্বামীকে উদ্ধারের জন্য সদর থানায় অভিযোগ করলেও পুলিশ তাকে উদ্ধার না করে উল্টো মাসুদ রানার কাছেই হাসানকে তুলে দেয়।
গত ১০ এপ্রিল মাসুদ রানার বাড়ি থেকে হাসানের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় হাসানের স্ত্রী বাদী হয়ে সদর থানায় মাসুদ রানাসহ তিনজনকে আসামি করে হত্যা মামলা করেন। ঘটনার পর মাসুদ রানাকে পুলিশ আটক করলেও অপর দুই আসামি এখনো পলাতক রয়েছে।
রিপন আকন্দ/এনএ