শরীয়তপুরের ভেদরগঞ্জে এক মাদরাসার প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে বলাৎকারের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় ভেদরগঞ্জ থানায় অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগীর মামা।

অভিযুক্ত হাফেজ মাওলানা মাহমুদুল হাসান (৩৮) পিরোজপুরের নাজিরপুর উপজেলার ছোট বুইচাকাঠি গ্রামের বাসিন্দা। তিনি পম সাজাহান পুর দারুস সালাম কেরাতুল কোরআন হাফিজিয়া মাদরাসার প্রধান মুহতামিম।

ভুক্তভোগী ও থানা সূত্রে জানা যায়, মাহমুদুল হাসান রাতে ওই ছাত্রকে ডেকে নিজ কক্ষে নিয়ে যান। কক্ষে নেওয়ার পর বিভিন্ন ধরনের কথা বলে একপর্যায়ে জোর পূর্বক তাকে বলাৎকার করে। এ ঘটনা কাউকে জানালে সমস্যা হবে বলে হুমকি দেন তিনি। সকালে ঘুম থেকে উঠে বাড়ি চলে যায় ভুক্তভোগী ওই ছাত্র। বাড়ি থেকে মাদরাসায় পাঠানোর চেষ্টা করলে সে আর যেতে চায় না। পরে রাতে তার সঙ্গে ঘটে যাওয়া ঘটনার কথা সে মামাকে বলে।

ভুক্তভোগীর মামা ঢাকা পোস্টকে বলেন, আমার ভাগ্নের বাবা দেশের বাইরে থাকে। মা নড়িয়া থাকে। ভাগ্নে আমাদের কাছে থেকে বড় হচ্ছে। মাদরাসায় ভর্তি করেছি যাতে ভালো পথে যায়। কিন্তু মাদরাসার শিক্ষকই আমার ভাগ্নের সব শেষ করে দিল। ওই হুজুরের বিরুদ্ধে আগেও এমন অভিযোগ ছিল। তারপরও তার বিরুদ্ধে কেউ ব্যবস্থা নেয়নি। আমি চাই এর সঠিক তদন্তের মাধ্যমে দোষীর শাস্তি হোক।

ভেদরগঞ্জ থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রাশীদুল বারী বলেন, আমাদের কাছে অভিযোগ করার সঙ্গে সঙ্গে আমরা অভিযুক্তকে ধরে নিয়ে এসেছি। ভুক্তভোগীকে মেডিকেল পরীক্ষার জন্য শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। রিপোর্ট পেলে আমরা পরবর্তী ব্যবস্থা নেব।

সৈয়দ মেহেদী হাসান/এসএসএইচ