নোয়াখালীর মাইজদীতে স্বামীকে আটক ও মারধর করে এক গৃহবধূকে ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগে মামলা হয়েছে। এ ঘটনায় পুলিশ দুই আসামিকে গ্রেপ্তার করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠিয়েছে।

সোমবার (২৫ আগস্ট) বিকেলে চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের মাধ্যমে তাদের কারাগারে প্রেরণ করা হয়।

এর আগে, রোববার দিবাগত রাতে ভুক্তভোগীর স্বামী বাদী হয়ে সুধারাম মডেল থানায় তিনজনের নাম উল্লেখ করে মামলা করেন। মামলার অপর এক আসামি এখনও পলাতক রয়েছে, তাকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।

কারাগারে প্রেরণকৃতরা হলেন—সদর উপজেলার কাদিরহানিফ ইউনিয়নের দরবেশপুর গ্রামের ওলি উল্যার ছেলে হানিফ এবং একই ইউনিয়নের বাহাদিপুর গ্রামের আবুল কাশেমের ছেলে কামরুল।

ভুক্তভোগী ও তার পরিবার জানায়, স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে মনোমালিন্য নিয়ে গত শুক্রবার সকালে পৌর বাজারে সামান্য কথা-কাটাকাটি হয়। এর মধ্যে হঠাৎ ৮-১০ জন বখাটে তাদের দুজনের মধ্যে কী সমস্যা তা জানতে চায়। তারা জানান, এটি তাদের পারিবারিক বিষয়, কোনো সমস্যা নয়। কিন্তু বখাটেরা এসব শুনতে না চেয়ে স্বামী-স্ত্রীকে আলাদা করে দুটি রুমে নিয়ে যায় এবং স্বামীকে মারধর করে।

খবর পেয়ে তাদের কয়েকজন আত্মীয়-স্বজনও আসেন। কিন্তু ওই বখাটেরা কারো কোনো কথা না শুনে সবাইকে আটক করে রাখে এবং অসদাচরণ করে। পরিবারের সদস্যরা আরও অভিযোগ করেন, এই সময় অন্য কক্ষে গৃহবধূকে ধর্ষণের চেষ্টা করে বখাটেরা। একপর্যায়ে ধর্ষণ থেকে বাঁচতে ওই গৃহবধূ দোতলা ভবন থেকে লাফিয়ে পড়েন। এতে তার পায়ে রড ঢুকে যায় এবং পা ভেঙে যায়। পরে বখাটেরা দ্রুত ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে গেলে ওই গৃহবধূর আত্মীয়-স্বজনরা তাকে উদ্ধার করে ২৫০ শয্যা নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করান।

গৃহবধূর স্বামী বলেন, বিষয়টি তারা পৌর বাজার ব্যবসা পরিচালনা কমিটির সাধারণ সম্পাদক আবদুল করিম মুক্তাকে অবহিত করেন। পরে তিনি গোপনে লোকজন দিয়ে ধর্ষণচেষ্টার সঙ্গে যুক্ত থাকা দুজনকে রোববার বিকেলে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেন।

সুধারাম মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামরুল ইসলাম বলেন, ভুক্তভোগীর স্বামী বাদী হয়ে সুধারাম মডেল থানায় তিনজনের নাম উল্লেখ করে মামলা করেন। আমরা দুইজনকে গ্রেপ্তার করে বিচারিক আদালতের মাধ্যমে কারাগারে প্রেরণ করেছি। মামলার অপর এক আসামি এখনও পলাতক রয়েছে, তাকে গ্রেপ্তারে আমাদের অভিযান অব্যাহত আছে। 

হাসিব আল আমিন/এএমকে