বান্দরবানের আলীকদমের কুরুকপাতা ইউনিয়নের তিন গ্রামে ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে শিশু, কিশোর ও বৃদ্ধসহ ১০ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ সময় আক্রান্ত হয়েছে ২০০ জনের বেশি। ডায়রিয়া নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে স্বাস্থ্য বিভাগ ও সেনাবাহিনীর যৌথ মেডিকেল টিম।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বুধবার (১৬ জুন) সকাল পর্যন্ত ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করেছেন কুরুকপাতা ইউনিয়নের মাংদন ম্রো (৫০), রেংকেন ম্রো (৪৫), ঙানলি ম্রো (৫২), সংপুর ম্রো (৪০), পাইনরিং ম্রো (৬), রামদন ম্রো (৪০), কাইকার ম্রো (৪৫), তুমলক ম্রো (৪০), চিংলে ম্রো (২২) এবং জনরং ত্রিপুরা (৪০)।

৪ নং কুরুকপাতা ইউপি চেয়ারম্যান ক্রাতপুং ম্রো বলেন, এ পর্যন্ত ১০ জনের মৃত্যু হয়েছে। তার মধ্যে এক শিশু, পাঁচজন নারী ও চারজন পুরুষ রয়েছে।

কুরুকপাতা ইউপির বাসিন্দা সাকনাও ম্রো বলেন, মেনলিউপাড়া (ইয়ুংচা), মাংরুমপাড়ায় এখন পর্যন্ত নয়জন এবং সোনাবিপাড়ায় একজন মারা গেছে।

আইএসপিআর সূত্রে জানা যায়, সেখানে কয়েকজন মৃত্যুবরণ করলেও ১৩৬ জন নারী, পুরুষ ও শিশু ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে মুমূর্ষ অবস্থায় আছে। খাবার পানি, পানি বিশুদ্ধকরণ ট্যাবলেট ও স্যালাইনসহ প্রয়োজনীয় ওষুধ বিতরণ করা হয়েছে। আলীকদম সেনা রিজিয়নের একটি টিম সেখানে কাজ করছে, একটি ফিল্ড হাসপাতাল তৈরির উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মো. মাহতাব উদ্দিন চৌধুরী জানান, সোমবার দুপুর থেকে সেনাবাহিনী ও স্বাস্থ্য বিভাগ যৌথভাবে চিকিৎসাসেবা দিয়ে যাচ্ছে। মোটামুটি সবাই সুস্থ, শুধু দুইজনের অবস্থা গুরুতর। অবস্থা উন্নতি না হলে তাদের উপজেলা সদরে আনা হবে। তিনি আরও বলেন, আমার পাওয়া তথ্যে সাতজন মারা গেছে। আমার মেডিকেল টিম সেখানে চিকিৎসাসেবা দিচ্ছে।

আলীকদম উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. সায়েদ ইকবাল জানান, সেনাবাহিনী ওই এলাকায় অস্থায়ী মেডিকেল ক্যাম্প স্থাপন করেছে। স্যানিটাইজার, হ্যান্ডগ্লভসসহ কিছু উপকরণ পাঠানো হবে।

বান্দরবানের সিভিল সার্জন ডা. অংসুই প্রু বলেন, আলীকদম-থানচি সীমান্ত এলাকায় কয়েকটি পাড়ার লোকজন ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়েছে। সেখানে মেডিকেল টিম কাজ করছে, দ্রুত পরিস্থিতির উন্নতি হবে।

রিজভী রাহাত/এসপি