খুলনা এখন করোনার হটস্পট। এখানে করোনার সংক্রমণ ঊর্দ্ধমুখী। জেলা ও মহানগরীতে রোগী শনাক্তের সংখ্যা বাড়ছে। বাড়ছে মৃতের সংখ্যাও। ফলে হাসপাতালে প্রতিদিনই করোনা রোগীর চাপ বাড়ছে। রোগী ভর্তি থাকছে ধারণক্ষমতার বাইরে।

১০০ শয্যার করোনা হাসপাতালে ১৩০, ১৪৩, ১৫৪ জন রোগী পর্যন্ত ভর্তি ছিল। বুধবার (১৬ জুন) সকাল ৮টা পর্যন্ত রোগী ভর্তি ছিল ১৩৯ জন। অতিরিক্ত রোগী ভর্তির কারণে শয্যা সংকট দেখা দেয়।

ফলে রোগীদের ফ্লোরে রাখতে হয়েছে। এতে দুর্ভোগে পড়তে হয়েছে রোগীদের। অবশেষে খুলনা করোনা হাসপাতালে বুধবার (১৬ জুন) ৩০ টি শয্যা বাড়ানো হয়েছে। খুলনা করোনা হাসপাতালের শয্যা সংখ্যা এখন ১৩০টি। বেড়েছে চিকিৎসক ও নার্স।

এদিকে শুধু করোনা হাসপাতালেই শয্যা বাড়ানো হচ্ছে না, খুলনায় বাড়ছে ৭০ শয্যাবিশিষ্ট নতুন আরেকটি করোনা ইউনিট। খুলনা ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেলারেল হাসপাতালে ৭০ শয্যার করোনা ইউনিট চালু হচ্ছে আগামী রোববার-সোমবার থেকে।

ওই দিন থেকে করোনা রোগী ভর্তি শুরু হবে। এ জন্য সাধারণ রোগী ভর্তি সেখানে বন্ধ রয়েছে। অন্যান্য রোগাক্রান্তদের খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হবে। সব মিলিয়ে খুলনায় করোনা রোগীদের জন্য বাড়ছে আরও ১০০ শয্যা।

খুলনা করোনা হাসপাতালের ফোকাল পার্সন ডা. সুহাস রঞ্জন হালদার বলেন, রোগীর চাপ বেড়েছে। যে কারণে শয্যা সংকট দেখা দিয়েছে। শয্যা বাড়ানোর প্রয়োজন ছিল। ৩০টি শয্যা বেড়ে এখন ১৩০ শয্যাবিশিষ্ট ডেডিকেটেড করোনা হাসপাতালে পরিণত হয়েছে।

সিভিল সার্জন ডা. নিয়াজ মোহাম্মদ বলেন, খুলনা ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে কোভিড রোগীদের জন্য ৭০টি শয্যা থাকছে। তবে অন্য রোগীদের এখানে ভর্তি নেওয়া হবে না। প্রথম ধাপে চিকিৎসক ২৪ চিকিৎসক লাগবে। এছাড়া প্রয়োজনীয় জনবল আমাদের রয়েছে।

মোহাম্মদ মিলন/এমএসআর