পুলিশের এএসপির ওপর হামলার ঘটনায় গ্রেপ্তার ৭
নরসিংদী শহরের আরশীনগর এলাকায় গতকাল শনিবার (৪ অক্টোবর) বেলা ১১টার দিকে অটোরিকশা ও সিএনজি চালকদের কাছ থেকে রশিদের মাধ্যমে অবৈধভাবে চাঁদা তোলা হচ্ছিল। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যান নরসিংদী জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (এএসপি) মো. আনোয়ার হোসেন। সেখানে তিনি চাঁদা তোলার সঙ্গে জড়িত দুইজনকে গ্রেপ্তার করেন।
তবে গ্রেপ্তারের পরপরই ৪০-৫০ জনের একটি দল এএসপি আনোয়ার হোসেন ও তার সঙ্গে থাকা পুলিশ সদস্যদের ওপর হামলা চালায়। তারা দুই আসামিকে পুলিশের কাছ থেকে ছিনিয়ে নিয়ে যায়।
বিজ্ঞাপন
হামলার সময় এএসপি আনোয়ার হোসেন আহত হন। প্রাথমিকভাবে তাকে নরসিংদী সদর হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়। পরে চিকিৎসকের পরামর্শে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে ঢাকা রাজারবাগ পুলিশ সাইন্স হাসপাতালে পাঠানো হয়।
এ ঘটনায় শহর পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ সোহেল আহমেদ বাদী হয়ে সদর মডেল থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। মামলায় পাঁচজনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরও ২৫-৩০ জনকে আসামি করা হয়েছে।
বিজ্ঞাপন
রাতে সদর মডেল থানা পুলিশ ও জেলা ডিবি পুলিশের সদস্যরা যৌথভাবে বিশেষ অভিযান চালিয়ে ৭ জনকে গ্রেপ্তার করে। জেলা পুলিশের এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
গ্রেপ্তারকৃত আসামিরা হলেন- (ফজলুল রশিদ আদর (৪০), পিতা: মৃত মাহমুদুর রশিদ, গ্রাম: পূর্ব ব্রাহ্মন্দী, সদর, নরসিংদী), (শফিকুল ইসলাম সুমন (৪৪), পিতা: শামসুল হক খন্দকার, গ্রাম: দত্তেরগাঁও ভিটিপাড়া, থানা: শিবপুর), (কুদরত হাসান রবিন (২৩), পিতা: বিরাজ খা, মাতা: পেতনা বেগম, গ্রাম: হাজীপুর), (মো. রকিব খা (৩০), পিতা: বিরাজ খান, মাতা: পেতনা বেগম, গ্রাম: হাজীপুর, ওয়ার্ড-০৩), (মো. সোহাগ মিয়া (৩৫), পিতা: হুমায়ুন কবির, মাতা: নুরজাহান বেগম, গ্রাম: ব্রাহ্মন্দী, ওয়ার্ড-০২), (মো. তানভীর মিয়া (২২), পিতা: শওকত মিয়া, মাতা: রাবিয়া বেগম, গ্রাম: বোয়াকুর), (শান্ত মিয়া (২৩), পিতা: শামসুল আলম, মাতা: শিমু আক্তার, গ্রাম: বালিয়া)
জেলা পুলিশ জানিয়েছে, বাকি আসামিদের ধরতে অভিযান চলছে। গ্রেপ্তারকৃতদের আদালতে পাঠানো হয়েছে।
এআরবি