নোয়াখালীতে কমছে সংক্রমণ, ১২ দিন পর শনাক্ত সর্বনিম্ন
করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় নোয়াখালী পৌরসভা ও সদর উপজেলার ৬ ইউনিয়নে চলছে তৃতীয় দফা কঠোর লকডাউন। এর ফলে কমতে শুরু করেছে সংক্রমণ। জেলায় গত ১২ দিন ধরে বাড়ছিল করোনার সংক্রমণ ও মৃত্যুর সংখ্যা। কিন্তু শনিবার (১৯ জুন) জেলায় সংক্রমণ আগের চেয়ে কিছুটা কমেছে। নতুন করে ২৪ ঘণ্টায় চার জনের শরীরের করোনা শনাক্ত হয়েছে। শনাক্তের হার ৫ দশমিক ৫৫ শতাংশ। এসময় করোনায় কারও প্রাণহানি হয়নি।
শনিবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে ঢাকা পোস্টকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন নোয়াখালী জেলা সিভিল সার্জন ডা. মাসুম ইফতেখার।
বিজ্ঞাপন
সিভিল সার্জন জানান, নোয়াখালীর ল্যাবে ৭২টি নমুনা পরীক্ষা করলে চার জনের করোনা শনাক্ত হয়। এর মধ্যে নোয়াখালী সদরের একজন, বেগমগঞ্জের দুই জন ও সোনাইমুড়ীর একজন রয়েছেন।
এ নিয়ে নোয়াখালীতে করোনায় আক্রান্ত হিসেবে মোট শনাক্ত হয়েছেন ১০ হাজার ১৬৩ জন। যার মধ্যে সদরের ৩ হাজার ৮৫২ জন আর বিভিন্ন উপজেলার ৬ হাজার ৩১১ জন।
বিজ্ঞাপন
তিনি আরও জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় কারও মৃত্যু হয়নি। নোয়াখালীতে করোনায় মোট মৃত্যু হয়েছে ১২৯ জনের। যার মধ্যে সদরের ২৪ জন আর বিভিন্ন উপজেলার ১০৫ জন।
জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ খোরশেদ আলম খান ঢাকা পোস্টকে বলেন, করোনা সংক্রমণ ঠেকাতে নোয়াখালী পৌরসভা ও সদর উপজেলার ছয় ইউনিয়নে এখন তৃতীয় দফায় সাত দিনের ‘বিশেষ লকডাউন’ চলছে। যা শেষ হবে ২৫ জুন রাত ১২টায়। লকডাউনের ফলে সংক্রমণের হার কমছে। এই লকডাউন ২১ দিন পূর্ণ হলে আশা করা যায় সংক্রমণ আরও কমে আসবে।
প্রসঙ্গত, করোনার সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় গত ৫ জুন থেকে নোয়াখালী পৌরসভা ও সদর উপজেলার ছয়টি ইউনিয়নে সাত দিনের বিশেষ লকডাউন ঘোষণা করে জেলা করোনা প্রতিরোধ কমিটি। কিন্তু সংক্রমণ বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় দ্বিতীয় দফায় গত ১২ জুন আরও সাত দিনের কঠোর লকডাউন ঘোষণা করে ওই কমিটি। দুই দফায় ১৩ দিনের লকডাউন শেষ হলেও কমছিল না আক্রান্তের সংখ্যা। পরিস্থিতির উন্নতি না হওয়ায় লকডাউনের সময়সীমা বাড়িয়ে ২৫ জুন পর্যন্ত করা হয়।
হাসিব আল আমিন/এসএসএইচ