বাগেরহাটে গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে আরও ৬৮ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। এই সময়ে মারা গেছেন দুইজন। মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়াল ২ হাজার ৫৫০ জনে। মারা গেছেন ৬৫ জন। এদের মধ্যে সুস্থ হয়েছেন ১ হাজার ৭৫৪ জন। ৫০ শয্যার করোনা ডেডিকেটেড হাসপাতালে  চিকিৎসাধীন রয়েছেন ৪৩ জন।

হাসপাতালে তিনটি আইসিউ শয্যা থাকলেও ভেন্টিলেটর ও প্রশিক্ষিত জনবল না থাকায় চিকিৎসা দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না। রোববার (২০ জুন) দুপুরে বাগেরহাট সিভিল সার্জন অফিস সূত্রে এসব তথ্য জানা যায়।

এদিকে সংক্রমণ ও মৃত্যুর হার বেড়ে যাওয়ায় স্থানীয়দের পাশাপাশি খোদ বাগেরহাট স্বাস্থ্য বিভাগের শীর্ষ কর্মকর্তা সিভিল সার্জন ডা. কেএম হুমায়ুন কবিরও শঙ্কা প্রকাশ করেছেন। তিনি বলেন, হঠাৎ করে আবারও করোনার উপসর্গ নিয়ে মানুষ হাসপাতালে আসছেন। করোনা রোগী বৃদ্ধি পাচ্ছে।

তিনি আরও বলেন, বর্তমানে ৫০ শয্যা করোনা ডেডিকেটেড হাসপাতালে করোনায় আক্রান্ত ৪৩ জন রয়েছেন। রোগীর পরিমাণ আরও বৃদ্ধি পেলে আমাদের চিকিৎসা দিতে হিমশিম খেতে হবে। মুমূর্ষু রোগী আসলে আমাদের আরও বিড়ম্বনায় পড়তে হবে।

সিভিল সার্জন বলেন, সংক্রমণ প্রতিরোধে ১৯ জুন থেকে বাগেরহাটে সিনোফার্মার করোনা ভ্যাকসিন দেওয়া শুরু হয়েছে। দুই দিনে জেলার ৯ উপজেলায় নির্ধারিত পেশার অন্তত তিনশ মানুষ সিনোফার্মার করোনা টিকা গ্রহণ করেছেন।

সিভিল সার্জন ডা. কেএম হুমায়ুন কবির বলেন, ২৪ ঘণ্টায় ১৯৪ জনের নমুনা পরীক্ষায় ৬৮ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। শনাক্তের হার ৩৫ শতাংশ। এই নিয়ে জেলায় আক্রান্তের সংখ্যা আড়াই হাজার ছাড়িয়েছে। মৃত্যু হয়েছে ৬৫ জনের।

তানজীম আহমেদ/এমএসআর