১৩ বছর ধরে নদীতে বসবাস করা বৃদ্ধ মা গোলাপী (৯০) ও তার ছেলে নুরু মিয়া এবার জল ছেড়ে ডাঙায় উঠতে যাচ্ছেন। সরকারি ঘর পাচ্ছেন তারা। তবে এখনো ঘরের কাজ পুরোপুরি শেষ হয়নি। ইতোমধ্যে ঘরের মালিকানার কাগজপত্র বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে মা-ছেলেকে। 

রোববার (২০ জুন) বেলা ১১টায় শরীয়তপুরের ডামুড্যা উপজেলার দারুল আমান ইউনিয়নের জয়ন্তী নদীর পাড়ে নুরু মিয়া ও তার মাকে ঘরের মালিকানার কাগজপত্র বুঝিয়ে দিয়েছেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার আলমগীর হোসাইন।

এর আগে গত ৯ এপ্রিল গোলাপী ও তার ছেলে নুরু মিয়ার জীবন কাহিনী নিয়ে ঢাকা পোস্টে ১৩ বছর নৌকায় বসবাস মা-ছেলের শিরোনামে সংবাদ প্রকাশিত হয়। সেই সংবাদের সূত্র ধরে নুরু মিয়ার মা গোলাপী বেগমকে বয়স্ক ভাতা ও সরকারি ঘরের ব্যবস্থা করে দেন তৎকালীন উপজেলা নির্বাহী অফিসার মর্তুজা আল মুঈদ। 

এ বিষয়ে ডামুড্যা উপজেলা নির্বাহী অফিসার আলমগীর হোসাইন ঢাকা পোস্টকে বলেন, বৈরি আবহাওয়ার কারণে এবং গোলাপী চলাচলে অক্ষম হওয়ায় আমরা তাকে আজ (রোববার) অনুষ্ঠানে আনতে পারিনি। ঘরের কাজ শেষ হলে আমরা গিয়ে তাকে ঘরে উঠিয়ে সবকিছু বুঝিয়ে দেব। এছাড়া উপজেলার ৮০টির মধ্যে ৩০টি ঘরের মালিকের হাতে মালিকানার দলিল বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে।

গোলাপীর ছেলে নুরু মিয়া ঢাকা পোস্টকে বলেন, আজ ঘরের কাগজ দিয়েছে। ঘর তৈরি হলে সেখানে আমরা উঠব। 

এর আগে শরীয়তপুরে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে দ্বিতীয় ধাপে ভূমিহীন ও গৃহহীন ১২০০ পরিবারের মধ্যে ২২০টি পরিবারকে প্রধানমন্ত্রীর উপহারের পাকা ঘরের কাগজপত্র বুঝিয়ে দেন জেলা প্রশাসক পারভেজ হাসান। 

সৈয়দ মেহেদী হাসান/এমএএস