নওগাঁয় চলমান বিধিনিষেধের মধ্যেই গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা শনাক্তের নতুন রেকর্ড হয়েছে। এই সময় ২৩০ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। এর আগে ১৬ জুন এক দিনে সর্বোচ্চ ১২৫ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছিল। এ নিয়ে জেলায় করোনা আক্রান্তের সংখ্যা সাড়ে তিন হাজার ছাড়াল।

গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় আক্রান্ত হয়ে একজনের মৃত্যু হয়েছে। এ পর্যন্ত জেলায় করোনা আক্রান্ত হয়ে ৬১ জনের মৃত্যু হয়েছে। জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয় সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।

জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, শনিবার (১৯ জুন) থেকে রোববার (২০ জুন) পর্যন্ত রাজশাহী মেডিকেল কলেজ ও বগুড়ার টিএমএসএস হাসপাতালের আরটি-পিসিআর ল্যাবে ৫২১ জনের নমুনা পরীক্ষায় ১৭৭ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। এ ছাড়া নওগাঁ সদর হাসপাতালসহ জেলার ১০টি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে র‌্যাপিড অ্যান্টিজেন পরীক্ষায় ২০৮ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ৫৩ জনের শরীরে করোনার সংক্রমণ ধরা পড়েছে। জেলায় শনাক্তের হার ৩১ দশমিক ৫৫ শতাংশ।

নতুন শনাক্তদের মধ্যে সদর উপজেলায় রয়েছেন সর্বোচ্চ ৭৯ জন। এ ছাড়া রানীনগর উপজেলায় ১০ জন, আত্রাইয়ে ৭, মহাদেবপুরে ২১, মান্দায় ২২, বদলগাছিতে ১৯, পত্নীতলায় ১৭, ধামইরহাটে ১০, নিয়ামতপুরে ২০, সাপাহারে ১৫ ও পোরশা উপজেলার ১০ জন শনাক্ত হয়েছেন।

সর্বোচ্চ শনাক্তের দিন বুধবার (১৮ জুন) আক্রান্তের হার ছিল ২১ দশমিক ৮২ শতাংশ। পরদিন শনাক্তের হার কিছুটা কমে ১৯ শতাংশ হয়। শুক্রবার আবার তা বেড়ে ৩৫ শতাংশ ছাড়িয়ে যায়। চলমান বিধিনিষেধের মধ্যেও জেলায় চলতি মাসে রেকর্ডসংখ্যক রোগী শনাক্ত হওয়ায় চিন্তিত জেলার স্বাস্থ্য বিভাগ।

করোনার সংক্রমণ রোধে চলতি মাসের ৩ জুন থেকে নওগাঁ জেলার কয়েকটি উপজেলায় সপ্তাহব্যাপী লকডাউন ঘোষণা করা হয়। এই লকডাউন শেষে পরে পুরো জেলায় বিশেষ বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়। করোনার সংক্রমণ ঠেকাতে নওগাঁয় এখনো এই বিশেষ বিধিনিষেধ চলমান রয়েছে।

ডেপুটি সিভিল সার্জন ডা. মঞ্জুর-এ মোর্শেদ ঢাকা পোস্টকে বলেন, লকডাউন ও বিধিনিষেধের মধ্যেও জেলায় করোনার সংক্রমণ বেড়ে যাওয়া খুবই উদ্বেগের বিষয়। মানুষের অসচেতনতার কারণেই সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণ করা কঠিন হচ্ছে। সবাই যথাযথভাবে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চললে করোনার সংক্রমণ অনেকটাই নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হতো।

শামীনূর রহমান/এনএ