জয়পুরহাটের ক্ষেতলাল উপজেলার বটতলীতে ৩০ কোটি টাকায় নির্মিত মেডিকেল অ্যাসিস্ট্যান্ট ট্রেনিং স্কুল (ম্যাটস) ভবনটি দুই বছর আগে হস্তান্তর করা হলেও এখনো চালু হয়নি। দৃষ্টিনন্দন ক্যাম্পাস, আধুনিক স্থাপনা সবই আছে, নেই শুধু কার্যক্রম।

জনবল নিয়োগ হয়নি, আসবাবপত্র আনা হয়নি, এমনকি এখনো বিদ্যুৎ সংযোগও দেওয়া হয়নি। ফলে কোটি টাকার এই সরকারি প্রতিষ্ঠানটি বর্তমানে এক নীরব স্থাপনায় পরিণত হয়েছে।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, ২০২০ সালে জয়পুরহাট-মোকামতলা আঞ্চলিক মহাসড়কের পাশে বটতলীতে ম্যাটসের নির্মাণকাজ শুরু হয়। স্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের তত্ত্বাবধানে ৩০ কোটি ৫৬ লাখ টাকা ব্যয়ে প্রতিষ্ঠানটি নির্মাণ করে ময়মনসিংহের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান এম.এস. এন্টারপ্রাইজ। নির্মাণ কাজ শেষে ২০২৩ সালের ২৭ সেপ্টেম্বর ভবনটি তৎকালীন সিভিল সার্জন ওয়াজেদ আলীর কাছে হস্তান্তর করা হয়।

সরেজমিনে দেখা গেছে, সুন্দরভাবে নির্মিত এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে রয়েছে একটি একাডেমিক ভবন, অধ্যক্ষের বাসভবন, স্টাফ কোয়ার্টার, ছাত্র ও ছাত্রীদের জন্য দুটি আবাসিক হল, গ্যারেজ, জেনারেটরসহ অন্যান্য ভবন। মাঝখানে একটি ছোট পুকুরও রয়েছে। তবে দীর্ঘদিন অব্যবহৃত থাকায় ভবন ও সড়কের পাশে এখন ঘাস ও আগাছা জন্মেছে।

ক্ষেতলাল মেডিকেল অ্যাসিস্ট্যান্ট ট্রেনিং স্কুলের (ম্যাটস) ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ ডা. কে.এম. জোবায়ের গালীব ঢাকা পোস্টকে বলেন, চলতি বছরের জানুয়ারিতে আমাকে এখানে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। এখনো অন্য কোনো কর্মকর্তা-কর্মচারী নিয়োগ দেওয়া হয়নি। আসবাবপত্র ও বিদ্যুৎ সংযোগও নেই। স্থানীয় জনপ্রতিনিধির মাধ্যমে একজন নৈশ প্রহরী রাখা হয়েছে। প্রতিষ্ঠানটি দ্রুত চালুর জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের পরিকল্পনা বিভাগের পরিচালক বরাবরে চিঠি দেওয়া হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, আগামী বছরে প্রতিষ্ঠানটি চালু হতে পারে। তবে ম্যাটস হিসেবে নয়, এখানে রেসিডেন্সিয়াল ফিল্ড সাইট ট্রেনিং (আরএফএসটি) কার্যক্রম শুরু হতে পারে।

চম্পক কুমার/এআরবি