জাল ভোট দেওয়ায় একজনকে কারাদণ্ড
পিরোজপুরের ইন্দুরকানীতে জাল ভোট দেওয়ার অভিযোগে হৃদয় শেখ (৩০) নামের এক যুবককে কারাদণ্ড দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। সোমবার (২১ জুন) দুপুরে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে তাকে আট মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। দণ্ডপ্রাপ্ত হৃদয় উপজেলার বালিপাড়া ইউনিয়নের ৬ নম্বর বালিপাড়া ওয়ার্ডের রুহুল আমীন শেখের ছেলে।
স্থানীয় ও ভ্রাম্যমাণ আদালত সূত্রে জানা গেছে, ওই যুবক এর আগে নিজের ভোট দেন। পরে দুপুর দেড়টার দিকে আবারও তিনি ভোট দিতে আসেন। এ সময় উপস্থিত এজেন্টরা চ্যালেঞ্জ করার পর তাকে আটক করা হয়।
বিজ্ঞাপন
পরে ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট কে এম মহিউদ্দিন তাকে আট মাসের কারাদণ্ড দেন।
এদিকে বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগ এনে পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ায় ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে তিনটি ইউনিয়নে নির্বাচন বয়কটসহ ভোট বর্জন করেছেন সাত চেয়ারম্যান প্রার্থী।
বিজ্ঞাপন
সোমবার উপজেলার সাপলেজা, বেতমোড় ও আমড়াগাছিয়া ইউনিয়নে এ ভোট বর্জন করেন স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থীরা। দুপুরে সংবাদ সম্মেলন করে ও নির্বাচন কমিশনে (ইসি) আবেদন করে পৃথকভাবে এ ঘোষণা দেন প্রার্থীরা।
জানা গেছে, প্রথম ধাপের ইউপি নির্বাচনে উপজেলার ছয়টি ইউনিয়নে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এর মধ্যে সাপলেজা ইউপি নির্বাচনে অনিয়ম ও কারচুপির অভিযোগ এনে নির্বাচন বয়কট ও পুনরায় ভোট দাবি করেছেন ওই ইউনিয়নের প্রতিদ্বন্দ্বী সাত প্রার্থী।
নির্বাচন কমিশনের আবেদনের মাধ্যমে ওই ইউনিয়নের স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. সেলিম জমাদ্দার, মো. শামীম, আবুল কালাম মোল্লা, মো. এনামুল কবির, মো. গোলাম রব্বানি, মো. আমির খান ও ইসলামী শাসনতন্ত্র আন্দোলনের মো. ইদ্রিস আলী মোল্লা পুনরায় ভোট দাবি করেছেন।
তারা অভিযোগ করেন, ওই ইউনিয়নের আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতীকের মো. মিরাজ মিয়ার ভাড়াটিয়া সন্ত্রাসীরা ইউনিয়নের বিভিন্ন ভোট কেন্দ্রে গিয়ে ভোটারদের প্রকাশ্যে ভোট দিতে বাধ্য করাসহ প্রতিদ্বন্দ্বী অন্য সব প্রার্থীর কর্মীদের হুমকি দিয়েছে।
এ ছাড়া প্রকাশ্যে ভোটারদের ব্যালট পেপার ছিনিয়ে নেয়। ভোট বর্জন করা প্রতীদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের মধ্যে ছয়জনই আওয়ামী লীগের ও একজন ইসলামি শাসনতন্ত্রের মনোনীত প্রার্থী বলে তারা জানান। একই অভিযোগ করে উপজেলার বেতমোড় ইউনিয়নের মো. শহিদুল ইসলাম এবং আমড়াগাছিয়া ইউনিয়নের বর্তমান চেয়াম্যান স্বতন্ত্র প্রার্থী ইব্রাহিম ফরাজী, সুলতান মিয়া ও কামাল হোসেন সংবাদ সম্মেলন করে নির্বাচন বর্জন করেছেন।
এ ব্যাপারে উপজেলার নির্বাচন কর্মকর্তা মো. নাজমুল হাসান জানান, তিনি এ ব্যাপারে কোনো লিখিত অভিযোগ পাননি।
মো. আবীর হাসান/এনএ