বাগানের ৩০০ পেয়ারা গাছ কেটে দিল প্রতিপক্ষ, কান্না থামছে না কৃষকের
চুয়াডাঙ্গার জীবননগর উপজেলার সীমান্ত ইউনিয়নের হরিহরনগর গ্রামে এক কৃষকের প্রায় ৩০০ পেয়ারা গাছ রাতের আঁধারে কেটে দিয়েছে দুর্বৃত্তরা।
রোববার (২ নভেম্বর) গভীর রাতে এ ঘটনা ঘটে। এতে তিনশ ফলন্ত পেয়ারা গাছ কেটে ফেলার অভিযোগ উঠেছে। সোমবার (৩ নভেম্বর) সকালে বাগানে গিয়ে কাটা পেয়ারা গাছের সারি দেখে বাকরুদ্ধ হয়ে যান কৃষক জালাল উদ্দিন।
বিজ্ঞাপন
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, হরিহরনগর গ্রামের কৃষক জালাল উদ্দিন প্রায় দুই বছর আগে নিজের ২৫ কাঠা জমিতে পেয়ারা চারা রোপণ করেন। সযত্নে লালন-পালনের ফলে প্রতিটি গাছে এ মৌসুমে প্রচুর ফল ধরেছিল। মাত্র কয়েক সপ্তাহ পর থেকেই তিনি পেয়ারা বিক্রি শুরু করার আশা করছিলেন। কিন্তু রোববার রাতে কোনো এক সময় অজ্ঞাত দুর্বৃত্তরা বাগানের সব গাছ কেটে রেখে যায়।
বিজ্ঞাপন
কাঁদতে কাঁদতে জালাল উদ্দীন বলেন, প্রায় তিন লাখ টাকা খরচ করে এই পেয়ারা বাগান করেছি। গাছগুলোকে নিজের সন্তানের মতো লালন করেছি। এ বছর ভালো ফলন হওয়ায় আশা ছিল কিছুটা লাভ করব। কিন্তু আজ আমার সব শেষ। আমি গরিব মানুষ, কৃষি কাজের আয় দিয়েই সংসার ও ছেলের পড়াশোনার খরচ চালাই। এখন আমি একেবারে পথে বসেছি।
কৃষক জালালের অভিযোগ, জমি নিয়ে একই গ্রামের সামাদের ছেলে আলমগীরের সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে তার বিরোধ চলছে। এর আগেও আলমগীর আমার জমিতে ক্ষতি করেছে, জাল কেটেছে, এমনকি আমার ছেলের গলায় অস্ত্র ধরে হুমকি দিয়েছে। আমি নিশ্চিত, এই কাজটিও তারই।
জালালের ছেলে আকিব হোসেন বলেন, সে আমাকে একাধিকবার মারধর করেছে, এমনকি গলায় ছুরি ধরে হত্যার হুমকি দিয়েছে। প্রায়ই বলত, জমির গাছ কেটে ফেলবে। শেষ পর্যন্ত তাই করল।
জীবননগর থানা পুলিশের পরিদর্শক (ওসি) মো. মামুন হোসেন বিশ্বাস বলেন, পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
আফজালুল হক/আরকে