সিরাজগঞ্জের সলঙ্গায় ক্লুলেস মিশুক চালক আমিরুল ইসলাম (২০) হত্যার রহস্য উদঘাটন করেছে পুলিশ। ঘটনায় জড়িত তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাদের স্বীকারোক্তি অনুযায়ী অটো মিশুকের যন্ত্রাংশ ও ব্যাটারি উদ্ধার করা হয়েছে।

বুধবার (৫ নভেম্বর) রাতে এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে সিরাজগঞ্জ জেলা পুলিশ জানায়, নিহত আমিরুল ইসলাম সিরাজগঞ্জের সলঙ্গা থানার অলিদহ গ্রামের মৃত আহম্মদ আলীর ছেলে। গত ৫ আগস্ট দুপুরে তিনি তার অটো মিশুক নিয়ে ভাড়া মারার উদ্দেশ্যে বাড়ি থেকে বের হন। এরপর আর ফিরে আসেননি। পরিবারের সদস্যরা খোঁজাখুঁজির পরও তাকে না পেয়ে সলঙ্গা থানায় একটি নিখোঁজ জিডি করেন।

পরবর্তীতে ১৮ অক্টোবর বিকেলে সলঙ্গা থানার রামকৃষ্ণপুর ইউনিয়নের চক নিহাল উত্তরপাড়া গ্রামের একটি ডোবায় কচুরিপানার নিচে অজ্ঞাত এক ব্যক্তির মরদেহ দেখতে পায় স্থানীয়রা। পরে নিহতের মা কাপড় দেখে মরদেহটি তার ছেলে আমিরুল ইসলামের বলে শনাক্ত করেন।

ঘটনার পর সলঙ্গা থানায় অপহরণ মামলা রুজু হয়। এরপর জেলা পুলিশের একটি চৌকস টিম তথ্যপ্রযুক্তি ও গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে প্রথমে দুই আসামিকে গ্রেপ্তার করে। তারা হলেন, চক নিহাল গ্রামের সাহেব আলী প্রামানিক (২৫) ও তাড়াশ উপজেলার ওয়াসিন গ্রামের আব্দুল আজিম প্রাং (৩১)।

তাদের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী নিহতের অটো মিশুকের হ্যান্ডেল, মিটার, হেডলাইট, টায়ার ও বডি উদ্ধার করা হয়। পরে একই গ্রামের মনিরুজ্জামান সরকারকে (৪৪) গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তার দেওয়া তথ্যে উদ্ধার করা হয় ভিকটিমের অটো মিশুকের চারটি ব্যাটারি।

গ্রেপ্তারকৃত তিনজনই আদালতে ফৌজদারি কার্যবিধির ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে।

সিরাজগঞ্জ জেলা গোয়েন্দা শাখা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) একরামুল হোসাইন ঢাকা পোস্টকে বলেন, আসামি সাহেব আলী ঋণ থেকে বাঁচতেই মিশুক ছিনতাইয়ের উদ্দেশ্যে চালক আমিরুল ইসলামকে হত্যা করে। পরে মিশুকের ব্যাটারি বিক্রি করে ঋণ পরিশোধের পরিকল্পনা ছিল।

মো. নাজমুল হাসান/এমএন