লঞ্চ-বাস বন্ধ, বিকল্প বাহনে যাচ্ছেন যাত্রীরা

করোনাভাইরাস প্রতিরোধে সাত জেলায় কঠোর বিধিনিষেধ আরোপ করেছে সরকার। ঢাকাকে সুরক্ষিত রাখতে এ বিধিনিষেধের কারণে চাঁদপুর থেকে ঢাকার সঙ্গে লঞ্চ ও বাস চলাচল বন্ধ রয়েছে। এতে দুর্ভোগে পড়েছেন চাঁদপুর থেকে ঢাকাগামী যাত্রীরা। 

মঙ্গলবার (২২ জুন) সকাল থেকে চাঁদপুর লঞ্চঘাট ও পৌর বাসস্ট্যান্ড এলাকায় ঢাকাগামী শত শত যাত্রীকে অপেক্ষা করতে দেখা যায়। অনেকেই ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষা করে বাড়ি ফিরে গেছেন। অনেকে আবার বিকল্প হিসেবে মাইক্রোবাস বা অ্যাম্বুলেন্সে করে ঢাকায় যাচ্ছেন। 

অন্যদিকে চাঁদপুর থেকে ঢাকাগামী কোনো বাস ছেড়ে না গেলেও চট্টগ্রাম, সিলেট, কুমিল্লা, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুরসহ অন্যসব রুটে শিডিউল অনুযায়ী বাস ছেড়ে যাচ্ছে। 

চাঁদপুর লঞ্চঘাটে ঢাকাগামী যাত্রী খোকন চৌধুরী বলেন, চাঁদপুর থেকে ঢাকার লঞ্চ চলাচল যে বন্ধ রয়েছে, সেটি এখানে এসে জানলাম। ঢাকায় আমাকে আজই যেতে হবে, কিন্তু লঞ্চ ও বাস বন্ধ থাকায় বাবুরহাট থেকে মাইক্রোবাসে করে যাওয়ার পরিকল্পনা করেছি।

চাঁদপুর পৌর টার্মিনালে রায়পুর থেকে আসা নুসরাত ও পারভিন নামে দুই যাত্রী বলেন, এখানে এসে বিপদে পড়েছি। কেউ বলে বাস আর যাবে না, আবার কেউ বলে অপেক্ষা করেন যাবে। এক ঘণ্টা ধরে ঘুরছি কোনো বাস ছাড়ে না। কুমিল্লার বাস চালকরা বলছে আমাদের কুমিল্লা নামিয়ে দেবে। সেখান থেকে নাকি অন্য বাসে করে ঢাকা যাওয়া যাবে। ভাবছি সেভাবেই যাব।

চাঁদপুর থেকে ঢাকাগামী পদ্মা বাসের সুপারভাইজার সজিব হোসেন বলেন, রাত সাড়ে ৩টার পর থেকে ঢাকায় আমাদের বাস যাওয়া বন্ধ রয়েছে। আগে শিডিউল অনুযায়ী ২০ মিনিট পরপর ঢাকার উদ্দেশে বাস ছেড়ে যেত। কিন্তু এখন পুরোপুরি বন্ধ রয়েছে।

চাঁদপুর পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি বাবুল মিজি ঢাকা পোস্টকে বলেন, সরকারের পক্ষ থেকে ঢাকার সঙ্গে বাস চলাচল বন্ধের নির্দেশনা দেওয়ার পর থেকেই বাস বন্ধ রয়েছে। তবে অন্যসব রুটে বাস চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে।

চাঁদপুর বিআইডব্লিটিএ বন্দর কর্মকর্তা মো. কায়সারুল ইসলাম ঢাকা পোস্টকে বলেন, চাঁদপুর-ঢাকা ও নারায়ণগঞ্জ রুটে লঞ্চ চলাচল বন্ধ হয়েছে। চাঁদপুর-ঢাকা রুটে ১৭টি ও নারায়ণগঞ্জ রুটে ১৪টি লঞ্চ নিয়মিত চলাচল করে। সরকারি নির্দেশনার কারণে আজ সকাল থেকে নৌযান চলাচল সম্পূর্ণ বন্ধ রাখা হয়েছে।

শরীফুল ইসলাম/জেডএস