বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ১৫টা বছর তো আমাদের গেছে খুব খারাপ। ফ্যাসিস্ট বাহিনি, ফ্যাসিস্ট সরকার তারা আমাদেরকে খুব বেশি মিটিং মিছিল করতে দেয়নি, তাই না? আপনাদের কাছে আসতেও দেয়নি। উল্টো আরও মামলা মোকদ্দমা করে এমন একটা অবস্থা তৈরি করেছে যে, আমাদের যারা কাজ করে বিএনপির তারা ভয় পেয়েছে, ভয় পায়, ঠিকমতো কাজ করতে পারে না।

তিনি বলেন, প্রিয় মা ভাই-বোন ও বন্ধুগণ, আল্লাহর অশেষ রহমতে, ভগবানের অশেষ কৃপায় আমরা সেই অবস্থাটা পার হয়ে গেছি। প্রথম দিন আপনাদের মনে আছে, ৫ আগস্ট যখন আমরা মুক্ত হলাম, তখন আমাদের ম্যাডাম মানে খালেদা জিয়া, তিনি একটা বিবৃতি দিয়েছিলেন, স্টেটমেন্ট দিয়েছিলেন, মানে কথা বলেছিলেন, সেই কথাটি ছিল যে, আমরা প্রতিহিংসায় বিশ্বাস করবো না। আমরা প্রতিশোধ নেব না। আমরা ভালোবাসা ও প্রেমের মধ্য দিয়ে রাজনীতি করতে চাই। আমি সেই কথাটি আবারও আপনাদেরকে বলতে চাই, যে আমরা কোনো প্রতিশোধের রাজনীতি করতে চাই না। আওয়ামী লীগ যেভাবে মামলা করেছে, আমরা সেভাবে মামলা করতে চাই না। যদি মামলা হয়ে থাকে, আমি আপনাদেরকে কথা দিচ্ছি সমস্ত মামলা তুলে নেওয়া হবে। যত মামলা আছে আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে, আমরা সমস্ত মামলাগুলো তুলে নেব। ঠিক আছে? আমরা ওই প্রতিহিংসা, প্রতিশোধের রাজনীতি করবো না। আমরা একটা ভালোবাসা, সৌহার্দ, সমৃদ্ধি নিয়ে আমরা চলতে চাই।

মঙ্গলবার (১১ নভেম্বর) বিকেলে ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার মোহাম্মদপুর ইউনিয়নের শাপলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

মির্জা ফখরুল বলেন, জনগণের তাড়া খেয়ে শেখ হাসিনা দিল্লি পালিয়েছেন। দিল্লিতে গিয়ে কিন্তু উনি শান্তিতে নাই। কেমন করে বাংলাদেশের মানুষকে আরও অত্যাচার-নির্যাতন করা যায় সেই পরিকল্পনা করছেন। ১৩ তারিখে বলে লকডাউন হবে। তার কারণে অন্ধকারের মধ্যে এসে কয়েকটা বাস পুড়িয়ে দিচ্ছে, ভয় দেখাচ্ছে। আরে ভয় দেখিয়ে ১৫ বছর শাসন করছো, শেষ পর্যন্ত পারছো? পারো নাই। শেখ হাসিনাকে বলতে চাই- আর পাগলামি করবেন না। অত্যাচার-নির্যাতন করে অতীতে শাসন করতে পারেননি, সামনেও ভয় দেখিয়ে পারবেন না। বরং জনগণের সামনে দুই হাত তুলে মাফ চান, বলেন- যা করেছি ভুল করেছি। ছেলেগুলোকে গুলি করে মেরেছি। আমাকে মাফ করে দেবেন।  

তিনি বলেন, জামায়াত কয়েকটা দলসহ জোর জবরদস্তি করে তাদের দাবি মানাতে চায়। তারা পিআর-গণভোট চায়, আমরা এটা বুঝি না। এসব আমরা মেনে নেব না।

আরএআর