পটুয়াখালীর গলাচিপায় নির্বাচন-পরবর্তী ভোট না দেওয়ার অভিযোগ তুলে পরাজিত প্রার্থীর ছেলে হামলা চালান বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এতে অন্তত ৮ জন আহত হয়েছেন। মঙ্গলবার (২২ জুন) উপজেলার রতনদী তালতলী ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ডের কাছারিকান্দা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

আহতরা হলেন সেরাজুল গাজী (৪০), জামাল খাঁ (৪২), জুয়েল খাঁ (৩৪), তৌহিদ খান (১৮) ও জহির গাজী (৫৫) ও আমিনুল (৪০)।

আহত জামাল খাঁ ঢাকা পোস্টকে জানান, মঙ্গলবার সকাল ১০টার দিকে রতনদীতালতলী ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ডের বিজয়ী ইউপি সদস্য মো. রিয়াজ গাজীকে নিয়ে তিনি নবনির্বাচিত চেয়ারম্যানকে শুভেচ্ছা জানাতে রওনা হন। সকাল ১০টার দিকে কাছারিকান্দার গুরিন্দা মসজিদের কাছে এলে পরাজিত প্রার্থী ও সাবেক ইউপি সদস্য আনোয়ার মুন্সির ছেলে আসাদুল মুন্সির সঙ্গে রতনদীতালতলী ইউনিয়নের কাছারিকান্দা গুরিন্দা মসজিদের পাশের রাস্তায় বাগবিতণ্ডা হয়।

একপর্যায়ে আসাদুল, আলমাস চৌকিদার, বায়েজিদ, জিএম, মেহেদী, শাহ আলী, রফিক, আসাদুল মজুমদারসহ ২০ থেকে ২৫ জন দুষ্কৃতকারী মিলে সেরাজুল, জামাল, জুয়েল, তৌহিদের ওপর হামলা চালায়।

তিনি আরও বলেন, দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষে সৃষ্টি হয়। এ ঘটনায় দুই পক্ষের ৮ জন আহত হয়। ভোট না দেওয়ার অভিযোগ করে কোনো কিছু বুঝে ওঠার আগেই হামলা চালানো হয়। এ সময় আহতদের চিৎকারে এলাকার লোকজন এলে দুষ্কৃতকারীরা পালিয়ে যায়।

গুরুতর আহত সেরাজুলকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশালের শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। অন্যদের গলাচিপা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা প্রদান করা হয়েছে বলে জানান জামাল খান।

এ ব্যাপারে সাবেক ইউপি সদস্য আনোয়ার মুন্সির ছেলে আসাদুল মুন্সির সঙ্গে কথা বলার জন্য মুঠোফোনে কল করা হলে তিনি ধরেননি।

গলাচিপা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এম আর শওকত আনোয়ার ইসলাম ঢাকা পোস্টকে বলেন, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আছে। কেউ এখন পর্যন্ত থানায় অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

মহিব্বুল্লাহ্ চৌধুরী/এনএ