রাজৈরে ৬ বছরের শিশু ধর্ষণের শিকার, মামলার পর এলাকায় চাঞ্চল্য
মাদারীপুরের রাজৈরে ৬ বছরের এক শিশুকে একাধিকবার ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় শুক্রবার (১৪ নভেম্বর) রাতে শিশুটির মা বাদী হয়ে রাজৈর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। পরে শনিবার (১৫ নভেম্বর) এলাকায় জানাজানি হয় এবং ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়। তবে ঘটনাটি কয়েকদিন আগে ঘটলেও হত্যার হুমকি দেওয়ায় চুপ ছিল শিশুটি।
এদিকে, মামলা হওয়ার আগেই টের পেয়ে পালিয়ে গেছে ধর্ষক সুজন বেপারী (২০)। তিনি জেলার রাজৈর উপজেলার নড়াকান্দি গ্রামের জলিল বেপারীর ছেলে।
বিজ্ঞাপন
ভুক্তভোগী পরিবার ও মামলার বিবরণে জানা যায়, শিশুটি নিয়মিত ধর্ষক সুজনের বাড়ির সামনে দিয়ে যাতায়াত করতো। এসময় তাকে উত্যক্ত করতো সুজন। পরে শিশুটি তার মাকে জানালে সুজনের বাবা মায়ের কাছে নালিশ করা হয়। কিন্তু তাতেও কোন ফল পাননি ভুক্তভোগীরা। পরবর্তীতে গত ১১ নভেম্বর সকাল ১০টার দিকে বাড়ির সামনে দিয়ে যাওয়ার সময় শিশুটিকে ফুসলিয়ে পার্শ্ববর্তী একটি নির্মাণাধীন বিল্ডিং-এ নিয়ে যায়। এরপর টয়লেটের ভেতরে ঢুকিয়ে ধর্ষণ করে এবং কাউকে জানালে মেরে ফেলার হুমকি দেয়। এই ভয়ে তিনদিন চুপ করে থাকার পর গত বৃহস্পতিবার (১৩ নভেম্বর) শিশুটি অসুস্থ হয়ে পড়ে। একপর্যায়ে পরিবারের সদস্যদের কাছে ঘটনাটি জানায়। তাকে চিকিৎসার জন্য প্রথমে রাজৈর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়। পরে কর্তব্যরত চিকিৎসক মাদারীপুর ২৫০ শয্যা জেলা হাসপাতালে পাঠায়। বর্তমানে শিশুটি সেখানেই চিকিৎসাধীন রয়েছে। এ ঘটনায় শুক্রবার রাতে শিশুটির মা বাদী হয়ে রাজৈর থানায় একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন। বিষয়টি এলাকায় জানাজানি হলে ধর্ষক পালিয়ে যায়।
শিশুটির মা ঢাকা পোস্টকে জানান, আমার মেয়েকে কয়েকবার ধর্ষণ করেছে সুজন। যে কারণে অনেক আঘাত পেয়েছে। কিন্তু ওর (মেয়ের) বড় ভাইসহ আমাদের স্ব-পরিবারে হত্যার হুমকি দেওয়ায় ভয়ে কখনো কাউকে কিছু বলে নাই। এবার ধর্ষণ করার কয়েকদিন পর অসুস্থ হয়ে পড়ে এবং আমাদের পরিবারের সকলের সামনে ঘটনাটি জানায়। গতকাল মামলা করেছি। এ ঘটনার সঠিক বিচার চাই।
বিজ্ঞাপন
তিনি আরও জানান, মেডিকেল পরীক্ষা করা হয়েছে। আগামীকাল (১৬ নভেম্বর) ডাক্তাররা বোর্ডে বসার পর রিপোর্ট দেবে। এ বিষয়ে কথা বলতে ধর্ষকের বাড়িতে গেলে পরিবারের কাউকে পাওয়া যায়নি।
মাদারীপুরের রাজৈর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মাসুদ খান বলেন, এ ব্যাপারে সুজনকে আসামি করে একটি মামলা দায়ের করেছেন শিশুটির মা। এরপর তাৎক্ষণিকভাবে আসামিকে ধরার জন্য পুলিশ পাঠিয়েছি। কিন্তু পুলিশ যাওয়ার আগেই পালিয়ে যায়। তাকে ধরার জন্য আমাদের চেষ্টা অব্যাহত আছে।
আকাশ আহম্মেদ সোহেল/এমএএস