গাজীপুরের কোনাবাড়ীতে ফ্ল্যাটে ঢুকে গৃহবধূ রহিমাকে (৩৮) গলা কেটে হত্যা এবং তার স্বামী ইমরানকে (৩৯) গলাকেটে হত্যাচেষ্টার ঘটনায় দুই যুবককে গ্রেপ্তার করেছে র‍্যাব। রোববার (১৬ নভেম্বর) দুপুরে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানায় গাজীপুর র‍্যাব-১। 

এর আগে শনিবার দিবাগত রাতে গাজীপুর র‍্যাব-১ ও র‍্যাব-৬ এর যৌথ অভিযানে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। তবে কেন হত্যা করা হয়েছে তা এখনো নিশ্চিত হতে পারেনি আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।

গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- কুড়িগ্রামের উলিপুর থানাধীন আব্দুল হাকিমের ছেলে আইনুল ইসলাম বুলেট (২২) ও বাগেরহাটের কচুয়া থানার আলতাব হোসেনের ছেলে রাজিব হোসেন (২০)। 

র‍্যাব জানায়, গাজীপুর মহানগরীর কোনাবাড়ী থানাধীন বাইমাইল নওয়াব আলী মার্কেট এলাকায় জহিরুল ইসলামের আবাসিক ভবনের ৫ম তলায় বসবাস করতেন ইমরান ও রহিমা। গত শুক্রবার (১৪ নভেম্বর) রাতের কোনো এক সময় তাদের রুমে গিয়ে দুজনের গলাকেটে পালিয়ে যান বুলেট ও রাজিব। পরদিন সকালে ফ্ল্যাটের প্রতিবেশীরা ঘরের দরজা খোলা পেয়ে ঘরে প্রবেশ করে দেখতে পায় স্বামী-স্ত্রীর রক্তমাখা দেহ পড়ে আছে। খবব পেয়ে পুলিশ এসে গৃহবধূ রহিমাকে মৃত অবস্থায় উদ্ধার করে। এ সময় স্বামী ইমরানের হৃদস্পন্দন টের পেয়ে তাকে দ্রুত হাসপাতালে পাঠানো হয়।

এ ঘটনায় প্রথম দিকে পুলিশ ও স্থানীয়দের ধারণা ছিল- কোনো দ্বন্দ্বের জেরে স্বামী তার স্ত্রীকে হত্যার পর নিজে আত্মহত্যার চেষ্টা করেছে। পরে নিহতের ভাই রহিম মিয়া বাদী হয়ে কোনাবাড়ী থানায় হত্যা মামলা করেন। ওইদিন রাতেই মামলার তদন্তে নামে র‍্যাব। এ সময় বিভিন্ন মাধ্যমের দেওয়া খবরে উঠে আসে হত্যার আসল তথ্য। পরে যৌথ অভিযান চালিয়ে নরসিংদীর মাধবদী ও বাগেরহাট জেলার কচুয়া থানাধীন দেপাড়াবাজার এলাকায় অভিযান চালিয়ে অভিযুক্ত আইনুল ইসলাম বুলেট ও রাজিবকে গ্রেপ্তার করা হয়। 

কোনাবাড়ী থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সালাউদ্দিন জানান, হত্যাকাণ্ডে জড়িত দুই আসামিকে গ্রেপ্তার করে কোনাবাড়ী থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। 

আশিকুর রহমান/আরএআর