কুড়িগ্রামের উলিপুরের ডক্টরস কমিউনিটি ক্লিনিকের লেবাররুম ও অপারেশন থিয়েটারের কার্যক্রম সাময়িকভাবে বন্ধ রাখার নির্দেশ প্রদান করা হয়েছে।

‎গত ২৮ অক্টোবর বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশের "উলিপুরে ভুল চিকিৎসায় নবজাতকের মৃত্যুর অভিযোগ” শিরোনামে সংবাদ প্রকাশিত হয়। এরপর নড়েচড়ে বসে জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ। গত ৩০ অক্টোবর তিন সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়।

গত‎ সোমবার (১৭ নভেম্বর) তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন অনুযায়ী কুড়িগ্রাম সিভিল সার্জন ডা. স্বপন কুমার বিশ্বাস স্বাক্ষরিত এক পত্রে জানা গেছে, অনিয়মসমূহ সংশোধন না হওয়া পর্যন্ত জনগণের সুষ্ঠ স্বাস্থ্য সেবা ও স্বাস্থ্য ঝুঁকি এড়ানোর লক্ষে ক্লিনিকের লেবাররুম ও অপারেশন থিয়েটারের কার্যক্রম সাময়িকভাবে বন্ধ রাখার নির্দেশনা প্রদান করেন।

‎এছাড়াও প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, ক্লিনিকের বিভিন্ন বিভাগের মধ্যে সমন্বয়হীনতা, পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা সন্তোষজনক নয়, ক্লিনিকের সার্বিক দিক অগোছালো, ডিউটি ডাক্তারের উপস্থিতি পরিলক্ষিত হয় নাই (যারা দায়িত্ব পালন করেন তারা অনকলে থাকেন), বর্জ্য ব্যবস্থাপনার জন্য কালার কোড অনুসরণ করে বিন সংরক্ষণ করা নাই এবং অত্র ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারের লাইসেন্স হালনাগাদ নবায়ন নাই। প্রতিবেদনে আরও উল্লেখ্য করা হয়, প্রতিষ্ঠানের ত্রুটিসমূহ সংশোধন ও লাইসেন্স নবায়ন অন্তে পরিদর্শন কমিটির সন্তোষজনক প্রতিবেদনের আলোকে প্রতিষ্ঠানটির উল্লেখিত কার্যক্রম চালু করার বিষয়ে নির্দেশনা প্রদানের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

‎এ বিষয়ে উলিপুর ডক্টরস কমিউনিটি ক্লিনিকের পরিচালক ডা. লোকমান হাকিম জানান, নির্দেশনা পাওয়ার পর ক্লিনিকের কার্যক্রম বন্ধ রাখা হয়েছে।

‎প্রসঙ্গত, গত ২০ অক্টোবর উলিপুর ডক্টরস কমিউনিটি ক্লিনিকে পৌরসভার নাড়িকেলবাড়ি এলাকার বেলাল বকসীর স্ত্রী মিথী খাতুনকে সন্তান প্রসবের জন্য ভর্তি করা হয়। ওই রাতেই নবজাতক জন্মগ্রহণ করেন। এ সময় নবজাতকের মায়ের জরায়ু কেটে ফেলা হয় এবং সেখানে ১২টি সেলাই দেওয়া হয়। এরপর নবজাতকের শ্বাসকষ্ট হলে পরদিন ২১ অক্টোবর চিকিৎসার জন্য রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ওই নবজাতকের মৃত্যু হয়।

বিষয়টি জানতে কুড়িগ্রাম সিভিল সার্জন ডা.স্বপন কুমার বিশ্বাসের ফোনে একাধিকবার ফোন করলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি।

মমিনুল ইসলাম বাবু/এমএএস