ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরের কান্দিপাড়া এলাকায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে পূর্বের সংঘর্ষের জেরে দুই পক্ষের মাঝে গুলি করার ঘটনা ঘটেছে। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় পৌর শহরের কান্দিপাড়া এলাকার একটি প্রিন্টিং প্রেসের সামনে এ ঘটনা ঘটে। 

এসময় টুটুল (৪৬), শিহাব (২৭) ও সানজো (২২) গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। তাদের মধ্যে টুটুলের অবস্থা গুরুতর বলে জানা গেছে। 

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সন্ধ্যায় হঠাৎ করে কান্দিপাড়া এলাকায় এক যুবক প্রকাশ্যে গুলি করা শুরু করে। এ সময় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়লে পুরো এলাকায় আতঙ্ক সৃষ্টি হয়। গুলিবর্ষণের সময় স্থানীয় বাসিন্দা ও আশপাশের পথচারীরা ভয়ে নিরাপদ স্থানে সরে যান। 
 
আহত শিহাব জানান, স্থানীয় লায়ন সাকিল নামের এক যুবক কান্দিপাড়া এলাকার এক প্রিন্টিং প্রেসের সামনে এসে আচমকা গুলি শুরু করা শুরু করে। সেখানে তাকে জিজ্ঞেস করতে গেলে আবারও গুলি করার উদ্দেশ্যে তেড়ে আসে। প্রথমদিকে এসে আচমকা গুলি করার সময় আমার হাত-পায়ে গুলি লাগে। পরে স্থানীয়রা সেখান থেকে আমাকে সরিয়ে নিয়ে আসে। আহতদের মধ্যে সেখানে থাকা টুটুলকে গুরুতর অবস্থায় দ্রুত হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। অন্য আহতদেরও বিভিন্ন ক্লিনিক ও হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর থানা পুলিশের অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আজহারুল ইসলাম জানান, খোঁজ নিয়ে জানতে পারি কান্দিপাড়া এলাকায় স্বেচ্ছাসেবক দলের সাকিল ও দিলীপের বিরোধের জেরে ঘটনাটি ঘটেছে। তদন্ত চলছে। বিস্তারিত পড়ে জানানো হবে।

তবে এ ব্যাপারে জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক দিলীপ বলেন, আজকের গোলাগুলির ঘটনায় আমার কোনো সম্পৃক্ততা নেই। এখানে আমার নাম আসাটা দুঃখজনক। আমি বর্তমানে সরাইলে আছি। শহরে ঢুকে গোলাগুলির কারণ জানতে পারবো। তবে সাকিল এলাকার মাস্তান ও মাদকব্যাবসায়ী।

এ ঘটনায় সাকিল বলেন, গুলি করার বিষয়টি আমার বিরুদ্ধে প্রপাগাণ্ডা। আমি গুলি করিনি।

মাজহারুল করিম অভি/এমএএস