সাতক্ষীরার শ্যামনগরে সেনাবাহিনী ও বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) যৌথ অভিযানে সুন্দরবন সংলগ্ন সীমান্ত এলাকার দুর্ধর্ষ সন্ত্রাসী ও আন্তঃসীমান্ত মাদক চোরাচালান চক্রের মূলহোতা আরজ খান (৪০) ও তার দুই সহযোগীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। শুক্রবার (২৮ নভেম্বর) রাতে কালিগঞ্জ সেনা ক্যাম্প থেকে গণমাধ্যমে পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়। এর আগে, বৃহস্পতিবার গভীর রাতে উপজেলার কৈখালী এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়।

গ্রেপ্তারকৃত ব্যক্তিরা হলেন- পশ্চিম কৈখালী গ্রামের শেখ শামসুর রহমানের ছেলে আরজ খান (৪০), একই এলাকার মৃত মতিয়ার গাজীর ছেলে সোহরাব গাজী (৪০) এবং ফজলুল হক গাজীর ছেলে ফরহাদ হোসেন বাবু (৩৬)।

প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, আরজ খান ও তার সহযোগীরা দীর্ঘদিন ধরে সুন্দরবনের গভীর অঞ্চল ও সীমান্ত এলাকা ব্যবহার করে চোরাচালান, জলদস্যুতা, মাদক পরিবহনসহ বিভিন্ন সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড পরিচালনা করছিল। তারা সীমান্ত পেরিয়ে বিভিন্ন অবৈধ মাদকদ্রব্য ও পণ্য এনে সুন্দরবনের দুর্গম এলাকায় মজুত করত এবং পরবর্তীতে দেশের বিভিন্ন এলাকায় সরবরাহ করত। পাশাপাশি কৈখালী, ভেটখালীসহ আশপাশের এলাকায় দীর্ঘদিন ধরে তারা ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করে স্থানীয়দের মধ্যে আতঙ্ক সৃষ্টি করে রেখেছিল।

আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর তথ্য অনুযায়ী, গ্রেপ্তার আরজ খানের বিরুদ্ধে শ্যামনগর থানায় মাদক চোরাচালান, সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড ও গণধর্ষণসহ একাধিক মামলা রয়েছে। তাকে ধরতে সম্প্রতি নজরদারি ও গোয়েন্দা তৎপরতা জোরদার করা হয়। অভিযানে তাদের কাছ থেকে ১৩৫ পিস ইয়াবা, দুইটি মোটরসাইকেল এবং কয়েকটি মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়েছে।

স্থানীয়রা জানান, দুর্ধর্ষ এই চক্রের সদস্যদের গ্রেপ্তারের খবর পেয়ে সাধারণ মানুষের মধ্যে স্বস্তি ফিরেছে। বহুদিন ধরে তারা সুন্দরবন সংলগ্ন এলাকায় অনিরাপত্তার বড় কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছিল।

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ শেষে আটক তিনজনকে শ্যামনগর থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, গ্রেপ্তারকৃতদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের প্রক্রিয়া চলছে।

ইব্রাহিম খলিল/এআরবি