যদি কেউ সমাবেশ করতে না দেয়, তাহলে আমরা প্রতিরোধ করব

নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জের বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আবদুল কাদের মির্জা তার দেওয়া শান্তি প্রস্তাব ফিরিয়ে নিয়েছেন। বৃহস্পতিবার (২৪ জুন) সকাল সাড়ে ১০টায় বসুরহাট বাজারের বঙ্গবন্ধুর ম্যুরালের সামনে তিনি এ ঘোষণা দেন।

মেয়র আবদুল কাদের মির্জা বলেন, দীর্ঘ ৫ মাস ধরে চলা রাজনৈতিক অস্থিতিশীল পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে শান্তি প্রস্তাব দিয়েছিলাম। কেউ আমার আহ্বানে সাড়া দেয়নি। তাই আমি শান্তির আহ্বান থেকে সরে গেলাম। এখন থেকে তাদের (প্রতিপক্ষ) যেখানেই দেখবেন, সেখানেই গণধোলাই দেবেন। আমি শান্তির প্রস্তাব দেওয়ার পরও গতকাল বসুরহাটে বাজারে তাণ্ডব চালিয়েছে।

বিকাল ৩টায় রুপালী চত্বরে ছাত্রলীগের প্রতিবাদ মিছিল ও বিক্ষোভ সমাবেশ আছে, সবাই থাকবেন। এখন থেকেই জড়ো হোন। কোনো অনিয়ম হতে দেওয়া হবে না। তিনি আরও বলেন, কেউ চাকরি দিবে বলে চাকরি দেয় না আর গ্যাস দিবে বলে গ্যাস দেয় না। আমি মিথ্যা কথার মধ্যে নাই। আমাকে মেরে ফেললে মেরে ফেলুক, তাও আমি মিথ্যা কথা বলতে পারব না। কাদের মির্জা

বুধবার (২৩ জুন) রাত পৌনে ৮টায় ওবায়দুল কাদেরের ভাগনে ফখরুল ইসলাম রাহাতের বাসায় হামলার ঘটনায় ২৪ জুন বিকেল ৩টায় বসুরহাট রুপালী চত্বরে বিক্ষোভ সমাবেশের ঘোষণা দেন কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের মুখপাত্র মাহবুবুর রশিদ মঞ্জু। 

মাহবুবুর রশিদ মঞ্জু ঢাকা পোস্টকে বলেন, আজ থানার সামনে কাদের মির্জার নির্দেশে স্বাধীনতা ব্যাংকার্স এসোসিয়েশনের সদস্য ফখরুল ইসলাম রাহাতের বাসায় হামলা চালানো হয়েছে। হামলার বিচার ও হামলাকারীদের গ্রেফতারের দাবিতে আগামীকাল বিকেল ৩টায় বসুরহাট রুপালী চত্বরে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ হবে। যদি কেউ করতে না দেয়, তাহলে আমরা প্রতিরোধ করব। কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না।

অন্যদিকে ওবায়দুল কাদেরের ভাগনে ফখরুল ইসলাম রাহাতের নেতৃত্বে বসুরহাটে তাণ্ডব চালানোর অভিযোগে এনে একই স্থানে বিক্ষোভ সমাবেশের ঘোষণা দেয় কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা ছাত্রলীগ।

উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শাহাদাত হোসেন সজল ঢাকা পোস্টকে বলেন, চলমান শান্তিপূর্ণ পরিস্থিতিকে ঘোলাটে করতে অপশক্তিরা নানা ষড়যন্ত্র করে যাচ্ছে। আজ রাতে ফখরুল ইসলাম রাহাতের নেতৃত্বে বসুরহাটে তাণ্ডব চালানো হয়েছে। এই প্রতিবাদে আগামীকাল বিকেল ৩টায় বসুরহাট রুপালী চত্বরে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ হবে।

দুটি গ্রুপের পাল্টাপাল্টি কর্মসূচিকে ঘিরে ফের সংঘর্ষের আশঙ্কা করছেন স্থানীয়রা। তারা বলছেন, এসব পাল্টাপাল্টি কর্মসূচি ঘিরে কোম্পানীগঞ্জ আবারও সহিংসতায় উত্তাল হয়ে উঠতে পারে। দুটি হত্যাকাণ্ডের রেশ কাটতে না কাটতেই পাল্টাপাল্টি কর্মসূচিকে ঘিরে আবারও প্রাণহানির আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।

উল্লেখ্য, নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জে আওয়ামী লীগের দুই গ্রুপের মধ্যে বিবদমান দ্বন্দ্বের কারণে গত পাঁচ মাস ধরে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি বিরাজ করছে। দ্বন্দ্বের জেরে ইতোমধ্যে এক সাংবাদিকসহ দুজনের প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছে।

হাসিব আল আমিন/এনএ