বগুড়ার আদালত চত্বর থেকে হাতকড়া খুলে পালিয়ে যাওয়া এক আসামিকে ১৭ ঘণ্টার মধ্যে আবারও গ্রেপ্তার করেছে গোয়েন্দা পুলিশ। প্রিজনভ্যানে তোলার সময় কৌশলে উধাও হয় আসামি শাহিদ ওরফে মিরপুর।

এদিকে, আদালত চত্বর থেকে আসামি পলায়নের ঘটনায় নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা সাত পুলিশ সদস্যকে ক্লোজড করা হয়েছে। তাদের মধ্যে রয়েছেন একজন এসআই, তিনজন এটিএসআই এবং তিনজন কনস্টেবল। আদালত এলাকায় নিরাপত্তার দুর্বলতা ও পুলিশের গাফিলতির বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

শুক্রবার (১২ ডিসেম্বর) বগুড়া জেলা পুলিশের মিডিয়া মুখপাত্র ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. আতোয়ার রহমান এ তথ্য জানান।

এর আগে, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত চত্বর থেকে কৌশলে হাতকড়া খুলে পালিয়ে যায় শাহিদ। তিনি বগুড়া সদর উপজেলার সাবগ্রাম চাঁনপাড়া এলাকার নুর আলমের ছেলে। শুক্রবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে সদর উপজেলার সাবগ্রাম এলাকা থেকে তাকে পুনরায় গ্রেপ্তার করে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।

জানা গেছে, গত বুধবার রাতে শহরের আকবরিয়া হোটেল এলাকায় সন্দেহজনকভাবে ঘোরাফেরা করার সময় জনতা শাহিদকে আটক করে। পরে তাকে সদর থানায় সোপর্দ করা হলে পুলিশ সম্ভাব্য অপরাধ প্রতিরোধে ফৌজদারি কার্যবিধির ১৫১ ধারায় তাকে গ্রেপ্তার দেখায়। আদালতে হাজির করার পর বিচারক তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। আদালত ফটকের সামনে প্রিজনভ্যানে তোলার সময় হাতকড়া খুলে পালিয়ে যায় সে। দায়িত্বপ্রাপ্ত পুলিশ সদস্যরা বিষয়টি তাৎক্ষণিকভাবে বুঝতে পারেননি।

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. আতোয়ার রহমান জানান, সদর থানায় ফৌজদারি কার্যবিধির ১৫১ ধারায় গ্রেপ্তার আসামিকে আদালতে হাজির করা হয়েছিল। কারাগারে নিয়ে যাওয়ার আগে প্রিজনভ্যানে তোলার সময় হাতকড়া খুলে লাফ দিয়ে দৌড়ে পালিয়ে যায় সে। এরপর তাকে পুনরায় গ্রেপ্তার করা হয়েছে এবং সাত পুলিশ সদস্যকে ক্লোজড করা হয়েছে।

এআরবি