জাতীয় স্মৃতিসৌধে চলছে শেষ মুহূর্তের প্রস্ততি
মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে জাতির বীর সন্তানদের শ্রদ্ধা জানাতে জাতীয় স্মৃতিসৌধে চলছে শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি। এদিন শ্রদ্ধা জানাবেন রাষ্ট্রপতি, প্রধান উপদেষ্টা, উপদেষ্টা পরিষদ, মুক্তিযোদ্ধাসহ লাখ মানুষ।
সরেজমিনে শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) দুপুরে সাভারের জাতীয় স্মৃতিসৌধে প্রাঙ্গণ সৌন্দর্য বধর্নের জন্য পরিচ্ছন্নকর্মীদের ব্যস্ত সময় পার করতে দেখা যায়। এসময় জাতীয় স্মৃতিসৌধে রং তুলির কাজ করতে দেখা যায়। এছাড়া বাহারী ফুল গাছের আদলে লাল-সবুজে আভায় সাজানো হচ্ছে স্মৃতিসৌধ। গণ কবর ও শহীদ বেদী ধুয়ে মুছে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করা হচ্ছে। লেক সংস্কার ও আলোকসজ্জাসহ বিভিন্ন কাজ করছে প্রায় শতাধিক শ্রমিক।
বিজ্ঞাপন
জাতীয় স্মৃতিসৌধে পরিচ্ছন্নতার কাজ করছিলেন মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম। তিনি বলেন, আমরা জাতীয় স্মৃতিসৌধে প্রায় এক মাস সময় ধরে বিভিন্ন কাজ করছি। এখানে কেউ ঝাড়ু দিচ্ছে আবার কেউ গাছের আগাছা ছাঁটাই করছে। এছাড়াও রং তুলির কাজসহ আলোকসজ্জার কাজ করা হচ্ছে বলে জানান তিনি।
বিজ্ঞাপন
অপরদিকে, জিএম আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, আমি জাতীয় স্মৃতিসৌধে ৪৩ বছর ধরে মুছে যাওয়া লেখাগুলো নতুন করে লেখি। এখানে বিভিন্ন দেশের প্রধানমন্ত্রীসহ গণ্যমান ব্যক্তিরা এসে গাছ রোপন করেন। সেই গাছের পাশে তাদের পরিচয় এবং দেশসহ ভ্রমণের বিস্তারিত আমি প্রতি বছর এসে লেখি। এখানে বীর শহীদদের জন্য কাজ করতে পেরে আমার অনেক ভালো লাগে বলে জানান তিনি।
জাতীয় স্মৃতিসৌধ ঝাড়ু দিচ্ছিলেন শেফালী বেগম। তিনি বলেন, আমি জাতীয় স্মৃতিসৌধ প্রাঙ্গণ পরিষ্কার রাখার জন্য প্রতিদিন এসে ঝাড়ু দেই। এতে আমার অনেক ভালো লাগে। যারা দেশের জন্য জীবন দিয়েছে, তাদের পরিচ্ছন্নতার কাজ করতে পারছি। দেশের লোক পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন দেখে ভালো বললে আমারও ভালো লাগবে বলে জানান তিনি।
সাভারে জাতীয় স্মৃতিসৌধের গণপূর্ত বিভাগের উপ-সহকারী প্রকৌশলী মোহাম্মদ আনোয়ার খান আনু ঢাকা পোস্টকে বলেন, মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে জাতীয় স্মৃতিসৌধ প্রাঙ্গণকে ধুয়ে-মুছে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার কাজ করা হচ্ছে। প্রায় এক মাস ধরে শতাধিক শ্রমিক জাতীয় স্মৃতিসৌধকে বিজয় দিবসের জন্য প্রস্তুতির কাজ চলছে।
লোটন/এমএএস