হাজীগঞ্জ-কচুয়া-সাচার-গৌরিপুর সড়ক যেন মরণ ফাঁদ
চাঁদপুরের হাজীগঞ্জ-কচুয়া-সাচার-গৌরিপুর সড়ক বিভাগের আওতাধীন ৪২ কিলোমিটার সড়কে প্রতিনিয়ত ঘটছে দুর্ঘটনা। প্রাণহানি যেন কোনোভাবেই থামছে না।
জানা গেছে, ২০১৬-২০১৭ অর্থবছরে এই জেলা সড়কের ৩২ কিলোমিটার সড়কের মধ্যে ১৮ কিলোমিটার অংশে প্রায় ১৪ কোটি টাকা ব্যয়ে তিনটি ব্রিজসহ ১২টি বাঁক ঠিক করা হয়। বাঁক সরল সঠিকভাবে না করায় সড়কটি দিন দিন মৃত্যু ফাঁদে পরিণত হচ্ছে। হাজীগঞ্জ-কচুয়া-সাচার-গৌরিপুর এই সড়কে গত ও চলতি বছরে ঝরেছে ২৫টি প্রাণ। এ সময় আহত হয়েছেন শতাধিক লোকজন। অনেকে হাত-পা হারিয়ে পঙ্গুত্ববরণ করেছেন।
বিজ্ঞাপন
কালাম, জিল্লুর রহমানসহ অনেক চালক বলেন, দু’পাশে বাঁক সরল সঠিকভাবে না করায় আমরা গাড়ি ওভারটেকিং করতে গিয়ে দুর্ঘটনার শিকার হই। চালকরা দাবি করেন, পুরাতন রাস্তায় ভালো ছিল। বাঁক সরল সঠিকভাবে না করায় এবং কাজের মান ভালো না হওয়ায় দুর্ঘটনা বাড়ছে।
বিজ্ঞাপন
স্থানীয় বাসিন্দা নিমাই সরকার, বাবুল মিয়া, জাহাঙ্গীর আলম জানান, জেলা সড়কে সবচেয়ে বেপরোয়াভাবে বাস, ট্রাক, সিএনজিচালিত অটোরিকশা, মোটরাসাইকেল চলতে দেখা যায়। পণ্যবাহী ট্রাকও অতিরিক্ত বোঝা নিয়ে বেপরোয়া গতিতে চলছে। জেলা সড়কের প্রতিটি মোড়ে স্পিডব্রেকার স্থাপন, বেপরোয়া গতিরোধ ও সঠিকভাবে বাঁক সরল করা প্রয়োজন বলে দাবি করেন তারা।
চাঁদপুর সড়ক বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আতিকুল্লাহ ভূইঞা বলেন, হাজীগঞ্জ-কচুয়া-সাচার-গৌরিপুর এই জেলা সড়কে ১২টি বাঁক সরল করা হয়েছে। যানবাহন ওভারলোড থাকায় প্রতিনিয়ত ঘটছে দুর্ঘটনা। সড়কগুলো প্রশস্তকরণ করা হলে দুর্ঘটনা কমবে আশা করছি। রাস্তাটি জেলা মহাসড়ক থেকে আঞ্চলিক মহাসড়কে বৃদ্ধির লক্ষ্যে উদ্যোগ নেওয়া হবে। পাশাপাশি সড়কটি উন্নীত হলে ঢাকা-চট্টগ্রাম সড়ক পাশ কেটে লক্ষ্মীপুর-নোয়াখালীগামী যানবাহন দ্রুত চলাচল করতে পারবে।
শরীফুল ইসলাম/এসপি