করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় নোয়াখালী পৌরসভা ও সদর উপজেলার ছয় ইউনিয়নে লকডাউনে কঠোর অবস্থানে ছিল নোয়াখালী জেলা প্রশাসন। লকডাউন অমান্য করায় ১৯ জুন (শনিবার) থেকে ২৫ জুন (শুক্রবার) পর্যন্ত নোয়াখালীতে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে ৯৮টি মামলায় এক লাখ ২৯ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। 

শনিবার (২৬ জুন) সকাল সাড়ে ৮টায় বিষয়টি ঢাকা পোস্টকে নিশ্চিত করেছেন নোয়াখালী জেলা প্রশাসনের সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সৈকত রায়হান।

জেলা প্রশাসনের মিডিয়া সেল সূত্রে জানা যায়, জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ খোরশেদ আলম খানের নির্দেশে এবং অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট তারিকুল আলমের তত্ত্বাবধানে করোনা রোধে ১৯ জুন থেকে ২৫ জুন পর্যন্ত নোয়াখালীতে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে অভিযান পরিচালিত হয়। নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটদের নেতৃত্বে চারটি টিম অভিযান চালিয়ে ৯৮ মামলায় এক লাখ ২৯ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করেন।

এ সময় সাধারণ মানুষকে মাস্ক পরিধানসহ স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণের আহ্বান জানানো হয় এবং স্বাস্থ্যবিধি না মানলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলা হয়। ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনায় সহযোগিতা করেন পুলিশ ও আনসার সদস্যরা।

অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট তারিকুল আলম ঢাকা পোস্টকে বলেন, করোনার সংক্রমণ রোধ করতে জেলা প্রশাসন তৎপর রয়েছে। সমাজে আইন অমান্য করার প্রবণতা রয়েছে। লকডাউন থাকা সত্ত্বেও মানুষজন নানা অজুহাতে ঘর থেকে বের হচ্ছে। বেশিরভাগ মানুষই স্বাস্থ্যবিধি মানছে না। করোনার সংক্রমণ রোধে স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ নিশ্চিত করতে জেলা প্রশাসনের অভিযান অব্যাহত থাকবে বলেও জানান তিনি।

নোয়াখালীর জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ খোরশেদ আলম খান ঢাকা পোস্টকে বলেন, জেলায় করোনার সংক্রমণ বাড়ছে। তাই চলমান লকডাউনের সময়সীমা সাত দিন বাড়ানো হয়েছে। নতুন করে বেগমগঞ্জ উপজেলার মীর ওয়ারিশপুর ও একলাশপুর ইউনিয়ন এবং চৌমুহনী পৌরসভাকে যুক্ত করা হয়েছে। ২ জুলাই রাত ১২টা পর্যন্ত লকডাউন কার্যকর থাকবে।

তিনি আরও বলেন, লকডাউন করা এলাকায় সব ধরনের গণপরিবহন ও সিএনজিচালিত অটোরিকশা চলাচল বন্ধ থাকবে। এলাকাগুলোতে ফার্মেসি ছাড়া সব দোকান বন্ধ থাকবে। কাঁচাবাজার সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত খোলা থাকবে।

ডিসি খোরশেদ আলম খান বলেন, শর্তসাপেক্ষে খাবার হোটেল খোলা থাকবে। জরুরি সেবা, বিদ্যুৎ, পানি, গ্যাস, ফায়ার সার্ভিস, ইন্টারনেট, চিকিৎসাসেবাসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য-সামগ্রীর কাজে নিয়োজিত পরিবহন চালু থাকবে।

করোনার সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় ৫ জুন থেকে নোয়াখালী পৌরসভা ও সদর উপজেলার ছয়টি ইউনিয়নে কঠোর লকডাউন দেওয়া হয়।

হাসিব আল আমিন/এসএসএইচ