ওসমান হাদির হত্যাকারীদের বিচার বাংলাদেশের মাটিতেই হবে : টুকু
বিএনপির প্রচার সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দিন টুকু বলেছেন, ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র ও ঢাকা-৮ আসনের স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য পদপ্রার্থী শহীদ শরীফ ওসমান হাদির হত্যাকারীরা ভারতে পালিয়ে গেলেও তাদের বিচার বাংলাদেশের মাটিতেই হবে।
শুক্রবার (১৯ ডিসেম্বর) রাতে টাঙ্গাইল পৌর শহরের দিঘুলীয়া বেপারী পাড়া এলাকায় বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার রোগমুক্তি ও তার সুস্থতা কামনায় আয়োজিত দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
বিজ্ঞাপন
সুলতান সালাউদ্দিন টুকু বলেন, দিল্লিতে বসে মানুষ খুনের নকশা করা হচ্ছে। সম্প্রতি চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক এরশাদ উল্লাহকে গুলি করা হয়েছে, ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক ওসমান হাদিকেও গুলি করা হয়। গত বৃহস্পতিবার চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি সিঙ্গাপুরে মৃত্যুবরণ করেন। ওসমান হাদিকে যারা গুলি করেছে, তারা ভারতে পালিয়ে গেছে। কীভাবে তারা পালালো, সে বিষয়ে প্রশাসনকে জবাব দিতে হবে।
আগামী ফেব্রুয়ারির নির্বাচনের বিএনপির কেন্দ্রীয় এই নেতা বলেন, নির্বাচন বানচালের জন্য ভারতে বসে ষড়যন্ত্র করা হবে, আর বাংলাদেশের মানুষ বসে থাকবে—তা থাকবে না। এ দেশের মানুষ ঐক্যবদ্ধভাবে ওই খুনিদের বিচার বাংলাদেশের মাটিতেই করব, ইনশাল্লাহ এবং জনগণকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে।
বিজ্ঞাপন
বিএনপির মনোনীত প্রার্থী টুকু আরও বলেন, ২০১৪, ২০১৮ ও ২০২৪ সালে মানুষ ভোট দেওয়ার সুযোগ পায়নি। শহীদদের রক্তের বিনিময়ে অর্জিত ভোটের অধিকার আবার নির্বাচনের মাধ্যমে ফিরিয়ে আনতে হবে। বিএনপি ক্ষমতার জন্য নয়, জনগণের অধিকার ফিরিয়ে দেওয়ার জন্য রাজনীতি করে।
টাঙ্গাইলের উন্নয়নের প্রসঙ্গে তিনি বলেন, টাঙ্গাইলকে নতুনভাবে সাজানো হবে। এখানে কোনো সন্ত্রাস, কিশোরগ্যাং, চাঁদাবাজি ও মাদক থাকবে না। একটি আধুনিক টাঙ্গাইল গড়ে তুলতে সবার সহযোগিতা কামনা করেন তিনি। টুকু বলেন, বিগত সময়ে এলাকায় দৃশ্যমান উন্নয়ন হয়নি। বিএনপি নির্বাচিত হলে জনগণকে সঙ্গে নিয়ে সর্বোচ্চ উন্নয়নমূলক কাজ করা হবে।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন– টাঙ্গাইল শহর বিএনপির সাবেক প্রচার সম্পাদক রুহুল আমিন সিরাজীর সভাপতিত্বে টাঙ্গাইল জেলা বিএনপির সাবেক সদস্য সচিব মাহমুদুল হক সানু, জেলা যুবদলের সাবেক সভাপতি আশরাফ পাহেলী, সদর উপজেলা বিএনপির সভাপতি আজগর আলী, সহ-সভাপতি আসলাম মিয়াসহ বিএনপির সহযোগী সংগঠন যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল ও ছাত্রদলের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরা।
আরিফুল ইসলাম/বিআরইউ