এবারের কোরবানি ঈদে নওগাঁর বদলগাছীর সেরা আকর্ষণ ক্যাপ্টেন

দুই বছর দুই মাস আগে জয়পুরহাট জেলার পাঁচবিবি হাট থেকে ৮৭ হাজার টাকায় একটি ফ্রিজিয়ান জাতের এঁড়ে গরু কেনেন মাসুদ রানা। অনেক যত্নে তিনি একে লালনপালন করেছেন। নাম দিয়েছেন ‘ক্যাপ্টেন’। তার আশা, এবারের কোরবানি ঈদে নওগাঁর বদলগাছীর সেরা আকর্ষণ ক্যাপ্টেন।

মাসুদ রানা সাদা-কালো রঙের মিশেলে আস্ত হাতির মতো দেখতে ক্যাপ্টেনকে আনুমানিক ৩৮ থেকে ৪০ মণ ওজন ধরে দাম হেঁকেছেন ২০ লাখ টাকা। সঙ্গে তিনি ফ্রি দিচ্ছেন প্রায় ৫ মণ ওজনের একটি এঁড়ে বাছুর।

উপজেলার পাহাড়পুর ইউনিয়নের জগদিশপুর গ্রামের গবাদি পশু-পাখির খাবার বিক্রেতা মাসুদের ইচ্ছে ছিল এটিকে এক বছর লালনপালন করে কোরবানির ঈদে বিক্রি করবেন। গত কোরবানিতে ঢাকা থেকে এক শিল্পপতি এসে সাড়ে ৯ লাখ টাকা দাম করেছিলেন। কিন্তু বয়স না হওয়ায় বিক্রি করেননি। এ বছর বয়স হওয়ায় এর দাম ঠিক করেছেন ২০ লাখ টাকা।

মাসুদ রানা ঢাকা পোস্টকে জানান, কেনার পর থেকেই সন্তানের মতো করে ক্যাপ্টেনকে লালনপালন করেছি। প্রতিদিন অন্যান্য খাবারের পাশাপাশি আপেল, কমলা ও মাল্টা খেতে দিই তাকে। নিয়মিত খাবারের মধ্যে আছে সুজি, ভুসি ও খুদের ভাত। বর্তমানে প্রতিদিন তিন কেজি আপেল, কমলা ও মাল্টা খায় ক্যাপ্টেন। প্রতি মাসে সাড়ে তিন মণ সুজি, সাড়ে তিন মণ ভুসি ও তিন মণ খুদ খেতে দিতে হয় তাকে।

ক্যাপ্টেনের ফ্রি দিচ্ছেন প্রায় ৫ মণ ওজনের এই গরুটি

তিনি বলেন, কেনার পর থেকে এখন পর্যন্ত দুই বছর দুই মাসে ক্যাপ্টেনের পেছনে খরচ করতে হয়েছে পাঁচ থেকে সাত লাখ টাকা। এই গরমে প্রতিদিন দেড় ঘণ্টা করে তিনবার গোসল করাতে হয়। ৩৮ থেকে ৪০ মণ ওজনের গরুটি গরম সহ্য করতে পারে না, তাই বিদ্যুৎ চলে গেলে আইপিএস দিয়ে ফ্যান চালানোর ব্যবস্থা করা হয়।

মাসুদ রানা বলেন, অনেক যত্ন করে লালনপালন করেছি ক্যাপ্টেনকে। মনমতো দাম পেলে বাড়িতে রেখেই বিক্রি করব। আর যদি ভালো দাম না পাই, তবে ঢাকায় নিয়ে গিয়ে বিক্রি করব। ২০ লাখ টাকায় বিক্রি করার ইচ্ছা আছে।

মাসুদ রানার স্ত্রী রাবেয়া বেগম বলেন, আমার স্বামী অনেক শৌখিন মানুষ। নিজের সন্তানের মতো করে গরুটি লালনপালন করেছেন। গরুটি আমাদের কাছে খুবই আপন হয়ে গেছে। ওকে বিক্রি করলে খুব কষ্ট লাগবে। কিন্তু বিক্রি তো করতেই হবে। সে ক্ষেত্রে যদি ভালো দাম পাই, তাহলে কষ্ট কিছুটা কমবে।

শামীনূর রহমান/এনএ