তারেক রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তন
‘ইতিহাসের স্বাক্ষী হতে এসেছি, আপনিও চলে আসুন’
প্রায় দেড় যুগ পর আগামীকাল ২৫ ডিসেম্বর লন্ডন থেকে ঢাকা আসছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের বড় ছেলের আগমনকে ঘিরে সারাদেশের বিএনপি নেতাকর্মীদের মাঝে বিরাজ করছে আনন্দ-উচ্ছ্বাস,এখনো একদিন বাকি থাকলেও ইতিমধ্যে দেশের বিভিন্নপ্রান্ত থেকে ঢাকায় গিয়ে উপস্থিত হয়েছেন অনেকে।
পর্যটন জেলা কক্সবাজার থেকে প্রায় ১০ হাজারের অধিক নেতাকর্মী এখন রাজধানীর স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের অনুষ্ঠান প্রাঙ্গণ থেকে নিকট দূরত্বে অবস্থান করছেন, যারা গত ২২ ডিসেম্বর থেকেই যাত্রা করে গতকাল ২৩ ডিসেম্বর পৌঁছেছেন এবং আজকেও অনেকে উপস্থিত হবেন।
বিজ্ঞাপন
মঙ্গলবার দিবাগত রাত ২টার দিকে (২৪ ডিসেম্বর) নিজের ফেসবুকে পূর্বাচলে প্রস্তুতকৃত মঞ্চের সামনে দাঁড়িয়ে তোলা একটি ছবি পোস্ট করে জেলা বিএনপির প্রচার সম্পাদক অধ্যাপক আকতার উদ্দিন চৌধুরী লিখেছেন, কক্সবাজারের আমরা ক’জন। ইতিহাসের স্বাক্ষী হতে এসেছি, আপনিও চলে আসুন।
মোবাইল ফোনে তিনি বলেন, বহুল প্রতীক্ষার অবসান ঘটতে চলেছে অবশেষে, নেতা আসছেন। আমরা খুবই উচ্ছ্বসিত, অনেকেই অগ্রিম চলে এসেছেন। মনে হচ্ছে তারেক রহমানের ঐতিহাসিক স্বদেশ প্রত্যাবর্তনে রেকর্ড পরিমাণ লোকের সমাগম হবে যা এর আগে কখনো হয়নি।
বিজ্ঞাপন
জেলার বিভিন্ন ইউনিট ও সহযোগী সংগঠনের দায়িত্বশীলরাও বর্তমানে ঢাকায় আছেন, অপেক্ষা করছেন ইতিহাসের অংশ হতে। উখিয়া উপজেলা মৎস্যজীবী দলের সভাপতি মোহাম্মদ ফরহাদ ঢাকা পোস্টকে বলেন, আমরা গতকালই (২৩ ডিসেম্বর) ঢাকা এসেছি, এক ঐতিহাসিক মুহূর্ত পেতে যাচ্ছি। অবশেষে প্রিয়নেতাকে দেশের মাটিতে দেখব, দীর্ঘ রাজনীতির পথচলায় যেটি হবে অমূল্যপ্রাপ্তি।
জেলা বিএনপি জানিয়েছে, আজ রাতেও বাসে-ট্রেনে অসংখ্য নেতাকর্মী ঢাকা সফর করবেন এবং সব মিলিয়ে ২৫ ডিসেম্বর সকালে পূর্বাচলের অনুষ্ঠানস্থলে উপস্থিত থাকবেন কক্সবাজারের ২০ হাজারের অধিক নেতাকর্মী।
জেলা বিএনপির দপ্তর সম্পাদক ইউসুফ বদরী বলেন, ৯ উপজেলা থেকেই নেতাকর্মীরা যাচ্ছেন। দীর্ঘ ফ্যাসিবাদের নিপীড়ন থেকে মুক্তি পেয়ে তারেক রহমান নিজের মাটিতে প্রত্যাবর্তিত হবেন, তার নেতৃত্বেই আগামীতে আমরা সমৃদ্ধ এক বাংলাদেশ অর্জন করতে যাচ্ছি।
ইউসুফ বদরী আরও বলেন, বুধবার রাত ৮টা ১৫ মিনিটে কক্সবাজার আইকনিক রেলস্টেশন থেকে ঢাকার উদ্দেশ্যে ছেড়ে যাবে বরাদ্দকৃত বিশেষ ট্রেন। এই ট্রেনে ৫০৪ জন নেতাকর্মী স্ব-স্ব টিকেট ক্রয় করে ভ্রমণ করবেন বলে জানান তিনি।
ইফতিয়াজ নুর/আরকে