বাগেরহাট থেকে ঢাকায় আসবেন ১০ হাজার বিএনপি নেতাকর্মী

দীর্ঘ ১৭ বছর পর দেশে ফিরছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। এই ঐতিহাসিক মুহূর্তের সাক্ষী হতে বাগেরহাট জেলা থেকে বিএনপি ও এর অঙ্গসংগঠনের প্রায় ১০ হাজার নেতাকর্মী ঢাকায় যাওয়ার প্রস্তুতি নিয়েছেন। দলীয় নেতাকর্মীদের মধ্যে ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনা দেখা দিয়েছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বাগেরহাট জেলা বিএনপির আহ্বায়ক এটিএম আকরাম হোসেন তালিম। তিনি বলেন, তারেক রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তন উপলক্ষে বাগেরহাট জেলাজুড়ে ব্যাপক প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে।

দলীয় সূত্রে জানা গেছে, জেলার ৯টি উপজেলা থেকে বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের প্রায় ১০ হাজার নেতাকর্মী ঢাকায় যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছেন। এ উপলক্ষে বাস, মিনিবাস, মাইক্রোবাস ও প্রাইভেটকার ভাড়া করা হয়েছে। বাগেরহাট সদরসহ মোল্লাহাট, ফকিরহাট, চিতলমারী, কচুয়া, মোরেলগঞ্জ, রামপাল, শরণখোলা ও মোংলা উপজেলা থেকে আলাদা আলাদা পরিবহণে নেতাকর্মীরা ঢাকার উদ্দেশে রওনা হবেন।

জেলা বিএনপির আহ্বায়ক এটিএম আকরাম হোসেন তালিম বলেন, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তন আমাদের জন্য অত্যন্ত আনন্দের ও গর্বের বিষয়। বাগেরহাট থেকে চারটি এবং কচুয়া থেকে ছয়টি বাসসহ প্রতিটি উপজেলা থেকেই বিভিন্ন পরিবহন ভাড়া করা হয়েছে। জেলাজুড়ে নেতাকর্মীদের মধ্যে যে উচ্ছ্বাস লক্ষ্য করা যাচ্ছে, তা ভাষায় প্রকাশ করা কঠিন। আমরা ইতিহাসের একটি স্মরণীয় মুহূর্তের সাক্ষী হতে যাচ্ছি।

এদিকে জেলা ছাত্রদলের নেতা শেখ আল মামুন বলেন, দীর্ঘদিন পর আমাদের প্রাণের নেতা দেশে ফিরছেন। তাকে স্বাগত জানাতে ছাত্রদল সম্পূর্ণ প্রস্তুত। বাগেরহাট জেলা ছাত্রদলের প্রায় দুই হাজার নেতাকর্মী ঢাকায় অনুষ্ঠিত গণসংবর্ধনা অনুষ্ঠানে অংশ নেবেন।

তিনি আরও বলেন, তারেক রহমান শুধু একজন নেতা নন, তিনি গণতন্ত্র ও ভোটাধিকার আন্দোলনের প্রতীক। তার প্রত্যাবর্তন দেশের রাজনীতিতে নতুন আশার বার্তা দেবে।

এ বিষয়ে বিএনপির একাধিক অঙ্গসংগঠনের নেতারা জানান, নেতাকর্মীরা নিজ নিজ ব্যানার, ফেস্টুন ও দলীয় পতাকা নিয়ে ঢাকায় যাবেন। পুরো যাত্রাপথে শৃঙ্খলা বজায় রাখতে আলাদা মনিটরিং টিম গঠন করা হয়েছে।

স্থানীয় নেতারা মনে করছেন, তারেক রহমানের দেশে ফেরা বিএনপির রাজনীতিতে নতুন গতি সঞ্চার করবে এবং তৃণমূল নেতাকর্মীদের মধ্যে নতুন উদ্দীপনা সৃষ্টি করবে। দীর্ঘদিন পর প্রিয় নেতাকে কাছে পাওয়ার আনন্দে বাগেরহাটের বিএনপি পরিবার এখন উৎসবমুখর পরিবেশে রয়েছে।

শেখ আবু তালেব/এআরবি