দীর্ঘ ১৭ বছরের বেশি সময়ের নির্বাসিত জীবন শেষে দেশের মাটিতে পা রাখতে যাচ্ছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। বৃহস্পতিবার (২৫ ডিসেম্বর) যুক্তরাজ্য থেকে বাংলাদেশ বিমানের একটি ফ্লাইটে তিনি দেশে ফিরছেন। বিমানটি প্রথমে সিলেট ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে নামবে এবং পরে ঢাকায় রওনা দেবে।

তারেক রহমানের যাত্রাবিরতিকে কেন্দ্র করে সিলেট ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরসহ আশপাশের এলাকায় সর্বোচ্চ নিরাপত্তা ও সতর্কতার ব্যবস্থা করা হয়েছে। বিমানবন্দর সংলগ্ন সড়কগুলোতে বসানো হয়েছে বিশেষ চেকপোস্ট, বাড়ানো হয়েছে গোয়েন্দা নজরদারি এবং নিয়ন্ত্রণে রাখা হচ্ছে যান চলাচল।

দলীয় সূত্রে জানা যায়, তারেক রহমান সিলেট বিমানবন্দরে নামবেন না। সে কারণে দলীয় নেতাকর্মীদেরও বিমানবন্দর এলাকায় না যাওয়ার নির্দেশনা দিয়েছে বিএনপি।

বিষয়টি নিশ্চিত করে সিলেট মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (গণমাধ্যম) মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম ঢাকা পোস্টকে বলেন, তারেক রহমানের যাত্রাবিরতিকে কেন্দ্র করে সিলেট ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ও আশপাশের এলাকায় সর্বোচ্চ নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। পুলিশসহ অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা পোশাকে ও সাদা পোশাকে দায়িত্ব পালন করবেন। বিমানবন্দর এলাকায় প্রবেশের ক্ষেত্রে কড়াকড়ি আরোপ করা হয়েছে। বৈধ যাত্রী, তাদের পরিবহনকারী যানবাহন এবং নিকট স্বজন ছাড়া অন্য কাউকে প্রবেশ করতে দেওয়া হবে না।

বিমানবন্দরের আশপাশের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক, প্রবেশপথ ও সংযোগ সড়কগুলোতে পর্যাপ্ত সংখ্যক পুলিশ মোতায়েন রাখা হয়েছে। পাশাপাশি গোয়েন্দা নজরদারি জোরদার করা হয়েছে এবং পরিস্থিতি সার্বক্ষণিক মনিটর করা হচ্ছে।

ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের পরিচালক হাফিজ আহমেদ ঢাকা পোস্টকে বলেন, আন্তর্জাতিক ফ্লাইট অবতরণের ক্ষেত্রে আমরা সব সময় সর্বোচ্চ সতর্ক থাকি। সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলোর নির্দেশনা অনুযায়ী প্রয়োজনীয় সব ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে এবং নেওয়া হচ্ছে।

এছাড়াও তারেক রহমানের দেশে ফেরাকে ঘিরে সিলেটের বিভিন্ন এলাকায় নেতাকর্মী ও সমর্থকদের মধ্যে ব্যাপক আগ্রহ ও আলোচনা সৃষ্টি হয়েছে। তাকে বরণ করে নিতে সিলেটে প্রস্তুতি থাকলেও মূল সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে যোগ দিতে সিলেট জেলা ও মহানগর বিএনপির নেতাকর্মীরা রাতের মধ্যেই ঢাকায় যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছেন।

মাসুদ আহমদ রনি/আরএআর