রাজধানীর পুঠিয়া উপজেলায় সড়ক পার হওয়ার সময় মাঝরাস্তায় হঠাৎ মোটরসাইকেলের ইঞ্জিন বন্ধ হয়ে যাওয়ায় বাসের ধাক্কায় জীবন তালুকদার (৩০) নামে এক যুবক নিহত হয়েছেন। এই মর্মান্তিক দুর্ঘটনায় আরও একজন গুরুতর আহত হয়েছেন।

শুক্রবার (২৬ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে জেলার পুঠিয়া উপজেলার শিবপুরহাট পবা হাইওয়ে থানার সামনে রাজশাহী-নাটোর মহাসড়কে এই দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহত জীবন পুঠিয়া উপজেলার বানেশ্বর ইউনিয়নের খুটিপাড়া গ্রামের জিন্নাত আলীর ছেলে। তিনি পেশায় শ্রমিক। এ সময় লাফ দিয়ে প্রাণে বেঁচে আহত হন খুটিপাড়া এলাকার জমসেদের ছেলে তুষার (১৭)। পরে তাকে স্থানীয়ভাবে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।

প্রত্যক্ষদর্শী ডাবালু জানান, জীবন শিবপুরহাটের পবা হাইওয়ে থানার সামনের মো. সাগরের স্টলে চা পান করেন। চা পান শেষে জীবন ও তুষার একটি মোটরসাইকেলে বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা দেন। তারা দুজনে সড়কের উত্তর পাশ থেকে ঘুরে পশ্চিম দিকে যাওয়া সময় মোটরসাইকেলের স্টার্ট বন্ধ হয়ে যায় মাঝ সড়কে। এ সময় রাজশাহী থেকে ঢাকাগামী তুহিন পরিবহনের (ঢাকা মেট্রো-ব-১৪৪৪৮৯) একটি বাস মোটরসাইকেলে ধাক্কা দেয়। এতে ঘটনাস্থলেই জীবনের মৃত্যু হয়। তবে দ্রুত মোটরসাইকেল থেকে লাফ দিয়ে প্রাণে বেচে যান তুষার। দুর্ঘটনার পর বাসটি দ্রুত পালিয়ে গেলেও কিছুটা দূরে বাসটি আটক করে পুলিশ।

এ বিষয়ে বানেশ্বর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুর রাজ্জাক দুলাল জানান, জীবন বানেশ্বরের কলা হাটায় শ্রমিকের কাজ করেন। খুব অসহায় একটি পরিবার। শ্রমিকের কাজ তার জীবিকার উৎস। তার দুই ছেলে-মেয়ে রয়েছে।

পবা হাইওয়ে থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোজাম্মেল হক কাজী জানান, জীবনকে ধাক্কা দেওয়া বাসটি স্থানীয় জনগণের সহায়তায় আটক করা হয়েছে। তবে ঘটনাস্থলেই জীবনের মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় নিহতের ভাই বাদী হয়ে মামলা করবেন।

এমএন