খুলনার পাইকগাছায় সড়ক নির্মাণে নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহার, চট্টগ্রামে ভবন নির্মাণ অনুমোদনে ঘুষ দাবি ও জয়পুরহাটে হাসপাতালে চিকিৎসাসেবায় অনিয়মের অভিযোগে পৃথক তিনটি অভিযান পরিচালনা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

রোববার (২৮ ডিসেম্বর) দুদকের তিন পৃথক কার্যালয় থেকে এই অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে বলে সংস্থাটির জনসংযোগ দপ্তর জানিয়েছে।

দুদক সূত্রে জানা যায়, খুলনার পাইকগাছা পৌরসভায় সড়ক নির্মাণকাজে নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহারের অভিযোগের প্রেক্ষিতে খুলনার দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয় থেকে এনফোর্সমেন্ট অভিযান পরিচালনা করে। অভিযানকালে টিম শিববাটি সেতুর নিচ থেকে কাজীর বিল গেট পর্যন্ত নির্মাণাধীন সড়কের এস্টিমেট, মেজারমেন্ট বুক (এমবি), বিল অব এন্ট্রি ও সংশ্লিষ্ট রেকর্ডপত্র সংগ্রহ ও পর্যালোচনা করে। সড়ক নির্মাণের মান যাচাইয়ে নিরপেক্ষ প্রকৌশলীদের সমন্বয়ে গঠিত টিম সরেজমিনে পরিদর্শন চালায়। এ সময় রাস্তার বিভিন্ন অংশের পরিমাপ গ্রহণ এবং নির্মাণসামগ্রীর নমুনা সংগ্রহ করে দুদক টিম। তারা পরিমাপে দেখতে পায়, প্রাক্কলন অনুযায়ী নির্ধারিত ২ হাজার ১৯০ মিটার দৈর্ঘ্যের পরিবর্তে প্রায় ৫০ মিটার কম কাজ হয়েছে।

অন্যদিকে, চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (সিডিএ) বিরুদ্ধে ভবন নির্মাণের অনুমোদন দিতে ঘুষ দাবি ও হয়রানির অভিযোগে দুদকের চট্টগ্রাম জেলা কার্যালয় থেকে অভিযান পরিচালনা করা হয়। অভিযানকালে দেখা যায়, চট্টগ্রাম মহানগরীর বাকলিয়া মৌজার সৈয়দ শাহ রোডে অবস্থিত ১,৩৭৫.৫৩ বর্গমিটার জমিতে দুটি বেইজ ও ১৩তলা ভবন নির্মাণের নকশা যথাযথভাবে অনুমোদিত হলেও নথির একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ ফাঁকা রেখে অনুমোদন আটকে রাখা হয়েছে। অতিরিক্ত অর্থ আদায়ের উদ্দেশে ইচ্ছাকৃতভাবে এ অনুমোদন ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে বলে অভিযোগ ছিল। এ ঘটনায় সহকারী নগর পরিকল্পনাবিদসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বিরুদ্ধে ঘুস দাবি ও অনিয়মের অভিযোগ খতিয়ে দেখছে দুদক।

আর জয়পুরহাটের পাঁচবিবি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাসেবা প্রদানে হয়রানি ও অনিয়মের অভিযোগে দুদকের নওগাঁ অফিস থেকে অভিযান পরিচালনা করে। অভিযানকালে দুদক টিম ছদ্মবেশে হাসপাতালের বিভিন্ন বিভাগ পরিদর্শন করে। ভর্তি রোগীদের সঙ্গে কথা বলে চিকিৎসাসেবা, ওষুধ সরবরাহ ও সামগ্রিক ব্যবস্থাপনা সম্পর্কে তথ্য সংগ্রহ করা হয়। এ ছাড়া, সংশ্লিষ্ট চিকিৎসকদের বায়োমেট্রিক হাজিরার তথ্য সংগ্রহ করা হয়। প্রাপ্ত তথ্য যাচাই-বাছাই শেষে কমিশনে পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন দাখিল করা হবে বলে জানিয়েছে দুদক।

আরএম/এএমকে