ছবি : নিহত আবু বক্কর ছিদ্দিক (বামে), খুনি হারুনুর রশীদ (ডানে)

নোয়াখালীর বেগমগঞ্জে জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে আপন ছোট ভাই হারুনুর রশীদের (৪৭) দায়ের কোপে বড় ভাই আবু বক্কর ছিদ্দিক (৫৯) নিহত হয়েছেন। বুধবার (৩১ ডিসেম্বর) বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আবু বক্কর সিদ্দিকের মৃত্যু হয়।

এর আগে মঙ্গলবার (৩০ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে বেগমগঞ্জ উপজেলার গোপালপুর ইউনিয়নের তুলাচারা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। তারা বেগমগঞ্জ উপজেলার গোপালপুর ইউনিয়নের ২ নং ওয়ার্ডের তুলাচার গ্রামের মৃত সেলামত উল্লাহর ছেলে। ঘটনার পর থেকেই অভিযুক্ত ছোট ভাই পলাতক রয়েছেন।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গতকাল ৩০ ডিসেম্বর সকাল সাড়ে ১০টার দিকে পারিবারিক জায়গা-জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে আপন দুই ভাইয়ের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এ সময় ভুক্তভোগী আবু বক্কর সিদ্দিকের সঙ্গে তার ছোট ভাই হারুনের কথা কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে উভয়ের মধ্যে ধাক্কাধাক্কি শুরু হলে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। সংঘর্ষের সময় উভয়ের হাতেই দেশীয় তৈরি ধারালো অস্ত্র দা ছিল।

একপর্যায়ে ছোট ভাই হারুন ধারালো অস্ত্র দিয়ে বড় ভাই আবু বক্কর সিদ্দিকের পায়ে কোপ দিলে তিনি ঘটনাস্থলেই মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। ধারালো অস্ত্রের আঘাতে আবু বক্কর সিদ্দিক গুরুতর আহত হন এবং অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ শুরু হয়। পরে পরিবারের সদস্যরা তাকে দ্রুত নোয়াখালী ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তার অবস্থার অবনতি হওয়ায় উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করেন। পরবর্তীতে আজ বুধবার আনুমানিক বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আবু বক্কর সিদ্দিকের মৃত্যু হয়।

নিহতের পরিবার জানায়, আবু বক্কর ছিদ্দিক ও তার ছোট ভাই হারুনুর রশীদের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে জমি ও ধানক্ষেত চাষ নিয়ে বিরোধ চলছিল। ঘটনার দিন সকালে বাড়ির গেটের সামনে কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে হারুনুর রশীদ দা দিয়ে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে আবু বক্কর ছিদ্দিককে গুরুতর জখম করেন।খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে। নিহতের মরদেহ ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ময়নাতদন্ত সম্পন্ন করা হয়েছে। 

বেগমগঞ্জ মডেল থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আ. বারী ঢাকা পোস্টকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। ঘটনাটি হত্যাকাণ্ড। অভিযুক্ত আসামি পলাতক রয়েছে। লিখিত অভিযোগ পেলে মামলাসহ প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

হাসিব আল আমিন/এআরবি