মো. শরিফুল ইসলাম

বোয়ালমারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল কর্মকর্তা মো. শরিফুল ইসলাম গত ২৬ জুন সস্ত্রীক করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। ঘুরে বেড়াচ্ছেন বোয়ালমারী বাজারে। সরকারি বাসভবনে বসে রোগী দেখছেন। তবে তিনি রোগী দেখার ক্ষেত্রে কৌশল অবলম্বন করেছেন। রোগীদের ব্যবস্থাপত্রে তারিখ দিচ্ছেন পেছনের মাসের।

জানা গেছে, শরিফুল ইসলাম গত সাত দিন ধরে অসুস্থ ছিলেন। পরে ২৬ জুন করোনা শনাক্ত হয় তার। এ অবস্থায় তিনি রোগী দেখছেন, দিচ্ছেন ব্যবস্থাপত্র। তিনি ব্যবস্থাপত্রে বর্তমান তারিখের বদলে ব্যবহার করছেন প্রায় এক মাস আগের তারিখ। এমন একটি ব্যবস্থাপত্রের অনুলিপি এসেছে ঢাকা পোস্টের হাতে।

শরিফুল ইসলাম বোয়ালমারী উপজেলার রূপপাত ইউনিয়নের কালী নগরের বাসিন্দা। তিনি বোয়ালমারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে মেডিকেল কর্মকর্তা হিসেবে কর্মরত রয়েছেন। তিনি ওই কমপ্লেক্সের চিকিৎসকদের জন্য নির্ধারিত আবাসিক ভবনে বসবাস করেন। সেখানে নিরব নামের ১১ মাস বয়সী এক শিশুকে তিনি দেখেছেন গত ২৮ জুন। কিন্তু ওই চিকিৎসক তারিখ লিখেছেন ২৬ মে ২০২১।

এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা খালেদুর রহমান ঢাকা পোস্টকে বলেন, বিষয়টি জানার পর ওই চিকিৎসককে চূড়ান্ত ভর্ৎসনা করা হয়েছে। তিনি রোগী দেখা ও বাইরে বের হওয়ার কথা স্বীকারও করেছেন। ভবিষ্যতে এ ব্যাপারে তিনি সতর্ক থাকবেন বলে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।

অভিযোগ বিষয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল কর্মকর্তা শরিফুল ইসলাম ঢাকা পোস্টকে বলেন, তিনি তার স্বাস্থ্যগত কারণে সোমবার (২৮) বাজার এলাকায় গিয়েছিলেন। এ ছাড়া তার কাছে আত্মীয় ও পুরোনো রোগীদের দূরত্ব বজায় রেখে তার সহকর্মীর মাধ্যমে ব্যবস্থাপত্র দিয়েছেন।

আগের মাসের তারিখ কেন, জানতে চাইলে তিনি বলেন, তার দেওয়া ব্যবস্থাপত্রে কোনো তারিখ ছিল না। তার প্রতিপক্ষ কেউ পেছনের তারিখ বসিয়ে দিতে পারেন বলে দাবি করেন তিনি।

এনএ