সৌদি আরবে এক গৃহকর্মীকে আটকে রেখে নির্যাতনের অভিযোগে মামলা করেছেন তার স্বামী রাব্বানী। এ ঘটনায় দুইজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। বুধবার (৩০ জুন) দুপুরে গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন পল্টন থানার পরিদর্শক আবু বকর সিদ্দিক। 

এর আগে গত ১৪ জুন আদালতে মামলা দায়ের করলে মামলাটি রাজধানীর পল্টন থানায় হস্তান্তর করা হয়। পরে গত ২৯ জুন রাতে তাদের গ্রেফতার করা হয়।

গ্রেফতাররা হলেন-সুলতানা ও রান ট্রাভেলস অ্যান্ড ট্যুর লিমিটেডের ডিরেক্টর রুস্তম আলী। তাদের বিস্তারিত পরিচয় পাওয়া যায়নি।

নির্যাতিত গৃহকর্মী ঝর্ণা খাতুন (৩৪) সাভারের পূর্ব জামসিং এলাকার রাব্বানীর স্ত্রী। তিন মাস আগে তিনি সংসারের অভাব-অনটন মেটাতে সন্তান-স্বামী রেখে সৌদি আরবে পাড়ি দেন। তার রবিন ও রিয়া মনি নামে দুই শিশু সন্তান রয়েছে।

ঝর্ণা খাতুনের স্বামী ঢাকা পোস্টকে জানান, সংসারের অভাব মেটাতে ঢাকার রান ট্রাভেলস এন্ড ট্যুর লিমিটেডের মাধ্যমে আমার স্ত্রী সৌদি আরবে গৃহকর্মীর কাজে যায়। সেখানে সে একটি বাসায় গৃহকর্মীর কাজ নেন। বেতন কম হওয়ায় বাসা পরিবর্তন করে অন্য বাসায় কাজ নেন। সেখানেও তার বেতন কম দেওয়া হয়। ঝর্ণা বেতন বাড়িয়ে চাইলে তাকে ওই বাসার একটি কক্ষে তালাবদ্ধ করে আটকে রাখেন বাসার কর্তারা। তাকে খাবার না দিয়ে মাসব্যাপী তার ওপর যৌন নির্যাতন চালানো হয়।

এক মাস পর ঝর্ণা তার স্বামীকে বিষয়টি জানানোর সুযোগ পান। রাব্বানী ঘটনা জানার পর সুলতানা নামে এক নারীকে প্রধান আসামি করে রান ট্রাভেলস এন্ড ট্যুর লিমিটেডের ডিরেক্টর রুস্তম আলীর বিরুদ্ধে মানবপাচার আইনে আদালতে একটি মামলা দায়ের করেন। পরে মামলাটি পল্টন থানায় হস্তান্তর করা হয়। এ ঘটনায় মঙ্গলবার রাতে মামলার দুইজনকে গ্রেফতার করে পুলিশ।

পল্টন থানার পরিদর্শক আবু বকর সিদ্দিক ঢাকা পোস্টকে বলেন, এ ঘটনায় গতকাল রাতে এক নারীসহ দুইজনকে গ্রফতার করা হয়েছে। দুপুরে তাদের আদালতে পাঠানো হবে।

এ বিষয়ে মুঠোফোনে কথা হয় পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্দুল মোমেনের সঙ্গে। তিনি বলেন, ওই নারী গৃহকর্মী কোন রিক্রুটিং এজেন্সির মাধ্যমে গেছে- আমরা বিষয়টি জানার চেষ্টা করছি। তারপরও আমি বিষয়টি প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক মন্ত্রণালয়কে বলে দিচ্ছি। 

মাহিদুল মাহিদ/এসপি