কঠোর বিধিনিষেধের ঘোষণায় শিমুলিয়ায় ঘরমুখো মানুষের চাপ
করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে কঠোর বিধিনিষেধের ঘোষণায় মুন্সিগঞ্জের শিমুলিয়া ঘাটে ঘরমুখো মানুষের চাপ বেড়েছে। বুধবার (৩০ জুন) সকাল থেকে দক্ষিণবঙ্গগামী যাত্রীদের শিমুলিয়া ঘাটে আসতে দেখা গেছে। পুলিশের চেকপোস্ট উপেক্ষা করে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যটারিচালিত আটোরিকশা ও ব্যক্তিগত গাড়ি নিয়ে ঘাটে আসছেন তারা।
যদিও ঢাকা-মাওয়া মহাসড়কের সিরাজদিখান উপজেলার কুচিয়ামোড়া ও নিমতলায়ও পুলিশের চেকপোস্ট রয়েছে। এক চেকপোস্ট থেকে অন্য চেকপোস্ট পর্যন্ত ভেঙে ভেঙে চলছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা। ঢাকা থেকে সিএনজি না আসলেও ঢাকা-মাওয়া মহাসড়কের পোস্তগোলা সেতু থেকে সিএনজি চলছে।
বিজ্ঞাপন
সরেজমিনে দেখা যায়, ঘরমুখো যাত্রীরা পোস্তগোলা সেতু পর্যন্ত হেঁটে অথবা রিকশায় চড়ে এসে তারপর ভেঙে ভেঙে সিএনজি ও অন্যান্য ছোট যানবাহনে শিমুলিয়া ঘাটে আসছেন। এতে চরম ভোগান্তিসহ অধিক ভাড়া গুনতে হচ্ছে তাদের। তবে ফেরি চলাচল স্বাভাবিক থাকায় পদ্মা পাড়ি দিতে বেশি সময় ঘাটে অপেক্ষা করতে হচ্ছে না কাউকে। ঢাকামুখী যাত্রীরাও আজ বাংলাবাজার থেকে শিমুলিয়ায় ফেরিতে পার হচ্ছেন। তবে ঘাট এলাকা ও ফেরিতে মানা হচ্ছে না স্বাস্থ্যবিধি ও সামাজিক দূরত্ব। অনেকের মুখে মাস্ক দেখা যায়নি।
বিজ্ঞাপন
মাওয়া ট্রাফিক পুলিশের ইনচার্জ জাকির হোসেন ঢাকা পোস্টকে বলেন, লকডাউনের মধ্যেই সকালে বেশ কিছু যাত্রী ঘাটে আসে। যখন বাংলাবাজার ঘাট থেকে ফেরি শিমুলিয়া ঘাটে ভিড়তে একটু দেরি হচ্ছে তখনি কিছু যাত্রী চাপ লক্ষ করা যাচ্ছে। তাছাড়া স্বাভাবিকভাবে সব কিছু পার হচ্ছে। এই মুহূর্তে ঘাটে ১৫টি ফেরি চলছে
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন করপোরেশনের (বিআইডব্লিউটিসি) শিমুলিয়া ঘাটের সুপারিনটেনডেন্ট বশির আহমেদ জানান, এই নৌরুটে এখন ১৫টি ফেরি চলছে। কঠোর বিধিনিষেধের ঘোষণায় ঘাটে মানুষের চাপ বাড়ছে। তবে বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে যাত্রী চাপ কমছে।
উল্লেখ্য, করোনা সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে আগামীকাল বৃহস্পতিবার (০১ জুলাই) সকাল ৬টা থেকে সারা দেশে সাতদিনের জন্য কঠোর বিধিনিষেধ আরোপ করেছে সরকার। সাতদিনের কঠোর বিধিনিষেধের এই সময়ে জরুরি কারণ ছাড়া কেউ ঘরের বাইরে বের হলে তার বিরুদ্ধে কঠোর শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। বিধিনিষেধ বাস্তবায়নে এবার বিভিন্ন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পাশাপাশি সেনাবাহিনীও মাঠে থাকবে।
ব.ম শামীম/আরএআর