সরকারঘোষিত কঠোর বিধিনিষেধের তৃতীয় দিনে রংপুরে এক ভুয়া সাংবাদিককে আটক করেছে র‌্যাব-১৩। আটক ব্যক্তির মোটরসাইকেলে প্রেস লেখা থাকলেও পরিচয়পত্র দেখাতে পারেননি তিনি। তবে র‌্যাব সদস্যদের জেরার মুখে নিজেকে সাংবাদিক থেকে পল্লী চিকিৎসক হিসেবে দাবি করেন ওই ব্যক্তি।

শনিবার (০৩ জুলাই) দুপুরে রংপুর জিলা স্কুল মোড় বঙ্গবন্ধু সড়কের কাছ থেকে তাকে আটক করা হয়। এ রিপোর্ট লেখা (বিকেল সাড়ে ৪টা) পর্যন্ত আটক ব্যক্তির বিরুদ্ধে মামলা বা কোনো দণ্ডাদেশ না হওয়ায় তার নাম পরিচয় জানা যায়নি।  

জানা গেছে, কঠোর বিধিনিষেধ কার্যকর করতে শনিবার সকাল থেকে মাঠ চষে বেড়ান র‌্যাব-১৩-এর অভিযানিক দল। এতে নেতৃত্ব দেন অধিনায়ক রেজা আহমেদ ফেরদৌস। নগরীর গুরুত্বপূর্ণ সড়ক ও মোড়ে মোড়ে বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে। এছাড়াও  অলিগলিতে আড্ডা বন্ধে তৎপরতা চালানো হয়। এসময় দুপুরে জিলা স্কুল মোড়ে বঙ্গবন্ধু সড়কের কাছে রাস্তায় বের হওয়া লোকজনদের ঘরে ফিরে যাবার জন্য আহ্বান করেন। পাশাপাশি যারা স্বাস্থ্যবিধির তোয়াক্কা না করে চলাফেরা করছেন, তাদের বিরুদ্ধে বিশেষ অভিযান পরিচালনা করা হয়।

অভিযানে প্রেস লেখা একটি মোটরসাইকেল আরোহীর গতিবিধি সন্দেহ হলে তাকে রাস্তায় থামিয়ে দেয়া হয়। এসময় মোটরসাইকেল চালক নিজেকে চলমান বার্তা নামের একটি পত্রিকার সাংবাদিক পরিচয় দেন। কিন্তু র ্যাব সদস্যরা তাকে পত্রিকার পরিচয়পত্র দেখাতে বললে, তাতে ধরা খেয়ে বসেন ওই ভুয়া সাংবাদিক। পরে চিকিৎসক হিসেবে দাবি করে পকেট থেকে একটি কার্ড বের করে দেন। সেই কার্ডে পল্লী চিকিৎসক লেখা থাকলেও শুরুতে মিথ্যার আশ্রয় নেয়ায় তাকে আটক দেখিয়ে র ্যাবের একটি গাড়িতে তোলা হয়।

ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে র‌্যাব-১৩ এর অধিনায়ক রেজা আহমেদ ফেরদৌস জানান, আটক ব্যক্তি নিজেকে সাংবাদিক পরিচয় দিলেও পরিচয়পত্র দেখাতে ব্যর্থ হয়েছে। মিথ্যার আশ্রয় নিয়ে বাইরে বের হওয়ার কারণে তাকে আটক করা হয়েছে। ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে আটক ব্যক্তির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

তিনি আরও বলেন, মুখে মাস্ক পরিধান না করা, অহেতুক বাইরে বের হওয়া, ভুয়া পরিচয়পত্র ব্যবহারকারী অন্তত ১৫ জনকে আটক করে টহল টিম। এছাড়া বিশেষ অভিযানের পাশাপাশি বিনামূল্যে মাস্ক বিতরণ করা হচ্ছে। তবে জরিমানার চেয়ে করোনার সংক্রমণ ঝুঁকি রোধে সচেতনতা বৃদ্ধি ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে মানুষজনকে উদ্বুদ্ধ করা হচ্ছে।

ফরহাদুজ্জামান ফারুক/এমএএস