ঠান্ডায় নাকাল জনজীবন, মঙ্গলবার থেকে শৈত্যপ্রবাহ
হাড় কাঁপানো শীতে বিপাকে মানুষ
কুড়িগ্রামে আবারও তীব্র শীত ও ঘন কুয়াশা পড়তে শুরু করেছে। হাড় কাঁপানো শীতে চরম বিপাকে পড়েছেন শিশু ও বৃদ্ধরা। তীব্র শীত ও হিমেল হাওয়ায় বিপর্যস্ত জনজীবন; বিপাকে পড়েছেন দিনমজুর, খেটে খাওয়া ও নিম্নআয়ের মানুষ।
এদিকে, রোববার (১০ জানুয়ারি) কুড়িগ্রামের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১৩ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আগামী (মঙ্গলবার) ১২ জানুয়ারির পর শৈত্যপ্রবাহ শুরু হতে পারে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া অফিস।
বিজ্ঞাপন
গত দুইদিন ধরে তাপমাত্রা নিম্নগামী থাকায় দুর্ভোগ বেড়েছে মানুষের। ঘন কুয়াশার সঙ্গে কনকনে ঠান্ডায় কাজে বের হতে না পেরে বিপাকে পড়েছেন শ্রমজীবীরা।
কুয়াশা ভেদ করে দেরিতে সূর্যের দেখা মিললেও তীব্র শীতে ব্যাহত জনজীবন। পর্যাপ্ত আলো না থাকায় কমছে না ঠান্ডার প্রকোপ। অতিরিক্ত ঠান্ডায় শিশু ও বড়দের শীতজনিত রোগ বৃদ্ধি পাচ্ছে। হাসপাতালেও শীতজনিত রোগীর সংখ্যা বাড়ছে।
বিজ্ঞাপন
ঘন কুয়াশায় দিনের বেলায় হেডলাইট জ্বালিয়ে চলছে যানবাহন । এ অবস্থায় চরম দুর্ভোগে পড়েছেন জেলার সাড়ে চার শতাধিক চর ও দ্বীপ চরের মানুষসহ ছিন্নমূল মানুষজন।
কুড়িগ্রাম সদর ভোগডাঙ্গা ইউনিয়নের মোল্লাপাড়া গ্রামের আহাম্মদ আলী বলেন, আবারও গতকাল থেকে শীতের কারণে বাড়ি থেকে বের হতে পারছি না। কুয়াশার কারণে কিছু দেখা যাচ্ছে না রাস্তায়। গাড়ি চালানো খুব ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে যাচ্ছে।
কুড়িগ্রাম রাজারহাট কৃষি আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সুবল চন্দ্র সরকার ঢাকা পোস্টকে বলেন, কুড়িগ্রামের আজ সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১৩ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আকাশে মেঘ থাকার কারণে কুয়াশা বেশি। আগামী (মঙ্গলবার) ১২ জানুয়ারির পর শৈত্যপ্রবাহ শুরু হতে পারে। তবে কুয়াশা হিসেবে ঠান্ডা অনেক কম।
এসপি