হোস্টেলে থেকে পড়াশোনা করি। আগে সব ঠিক থাকলেও গত দুই বছর ধরে বর্ষা মৌসুমে জলাবদ্ধতার কারণে টয়লেটের ময়লা ও দুর্গন্ধযুক্ত পানিতে ওই হোস্টেল ভবনটি ব্যবহারের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। এতে ময়লা পানির মধ্যেই শিক্ষার্থীদের বাধ্য হয়ে বসবাস করতে হচ্ছে।

সোমবার (৫ জুলাই) পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজের হোস্টেল গেটে প্রতিবেদককে এভাবেই কথাগুলো বলছিলেন আবাসিক শিক্ষার্থী মো. সিহাব।

এসময় কথা হয় আরেক শিক্ষার্থী সায়েমের সঙ্গে। তিনি বলেন, প্রতিবছর হোস্টেলের সামনে এ রকম জলাবদ্ধতা থাকে। এ বছর জলাবদ্ধতা প্রকট আকার ধারণ করেছে। আমাদের হাঁটু পর্যন্ত প্যান্ট উঠিয়ে রাস্তায় চলাচল করতে হয়।

অপর শিক্ষার্থী মঞ্জুরুল বলেন, আমার ছেলেদের মূল হোস্টেলের নির্মাণ কাজ শেষ হয়েছে ছয় মাস হলো। কিন্তু বিদ্যুৎ সংযোগের হয়নি এই যুক্তি দিয়ে এখনও আমাদের নতুন ভবনে তুলে দেওয়া হচ্ছে না।

তিনি আরও বলেন, বর্তমানে আমরা ছয়টি ব্যাচের শিক্ষার্থীরা এই হোস্টেলে বসবাস করছি। এক রুমে ১২ জন করে থাকতে হচ্ছে। ফলে করোনার মধ্যে কোনো সেফটি মেনটেইন করা যাচ্ছে না।

জানা গেছে, ২০১৪ সালে পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ প্রতিষ্ঠিত হয়। ২০১৫ সালের ১৫ জানুয়ারি ভিডিও কনফারেন্সর মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আনুষ্ঠানিকভাবে মেডিকেল কলেজের শিক্ষা কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন। মেডিকেল কলেজটিতে পাঁচ বছর মেয়াদি এমবিবিএস কোর্সে প্রতিবছর ৫২ জন শিক্ষার্থী ভর্তি করা হয়। শিক্ষা কার্যক্রম শুরুর পর ক্যাম্পাসে পুরনো একটি ভবনে শিক্ষার্থীদের আবাসনের ব্যবস্থা করা হয়।

আবাসিক শিক্ষার্থীদের দুর্ভোগের বিষয়ে জানতে চাইলে পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ ডা. মোস্তাফিজুর রহমান ঢাকা পোস্টকে বলেন, শিক্ষার্থীদের হোস্টেলে সমস্যার বিষয়ে গণপূর্ত বিভাগকে একাধিকবার লিখিত এবং মৌখিকভাবে অবহিত করা হয়েছে। তারা কোনো উদ্যোগ গ্রহণ করেনি। বিষয়টি আসলেই দুঃখজনক।

গণপূর্ত বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. হারুন অর রশিদ মুঠোফোনে বলেন, নতুন স্থাপনা নির্মাণ করতে গিয়ে জলাশয় ভরাট করায় বৃষ্টির পানিতে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। সমস্যা সমাধানে দ্রুত উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে।

মহিব্বুল্লাহ চৌধুরী/এসএসএইচ