৯০০ পরিবারের মুখে হাসি
রংপুরে সংখ্যালঘু সম্প্রদায় ও দলিত পরিবারের ৯০০ পরিবারকে খাদ্য সহায়তা দিয়েছে বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা ডপস। প্রাণঘাতি করোনাভাইরাসের বিস্তার রোধে চলমান কঠোর বিধিনিষেধের সময় খাবার পেয়ে আনন্দিত হতদরিদ্র ও নিম্নআয়ের এসব পরিবার।
মঙ্গলবার (০৬ জুলাই) সকালে রংপুর সদর উপজেলা পরিষদ চত্ত্বরে স্বাস্থ্যবিধি মেনে খাদ্য সহায়তা প্রদান করা হয়। এসডিসি’র অর্থায়নে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন ও ইউএনডিপি-হিউম্যান রাইটস্ অ্যান্ড জাস্টিস প্রোগ্রামের সহায়তায় খাদ্য সামগ্রী বিতরণ কার্যক্রমের আয়োজন করে ডপস।
বিজ্ঞাপন
বিতরণ কার্যক্রমে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইসরাত সাদিয়া সুমী, সুজন’র মহানগর সম্পাদক বীরমুক্তিযোদ্ধা মাহাবুবার রহমান, এনজিও অবলম্বন’র নির্বাহী পরিচালক প্রবীর চক্রবর্তী, ডপস’র নির্বাহী পরিচালক উজ্জ্বল চক্রবর্তী প্রমুখ।
এর আগে সকাল আটটা থেকে রংপুর নগর ও সদর উপজেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে খাদ্য সহায়তা পেতে উপজেলা পরিষদ চত্ত্বরে জড়ো হতে থাকে সুবিধাভোগীরা। সকাল ১০টায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার উপস্থিতিতে বিতরণ কার্যক্রম শুরু হয়। এরই মধ্যে শুরু হয় বৃষ্টি। পরে বৈরি আবহাওয়া উপেক্ষা করে পরিষদের ভেতরে মিলনায়তন থেকে হাতে হাতে পৌঁছে দেওয়া হয় খাদ্যসামগ্রীর প্যাকেট।
বিজ্ঞাপন
দুর্দিনে খাদ্য সহায়তা পেয়ে আয়োজকদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে হরিশ চন্দ্র, প্রদীপ রায়, হিরু ডোমিনসহ আরো অনেকে। মাতলী ও ঝর্ণা রায় বলেন, আমরা সারাবছরই কষ্টে থাকি। কিন্তু এখন করোনার কারণে লকডাউন চলছে। এতে কষ্ট আরো বেড়ে গেছে। ঠিকমতো সংসার চলছে না। এ বিপদের দিনে এত কিছু পেয়ে আমরা আনন্দিত। কিছুদিন ভালো খেয়ে থাকা যাবে।
কার্যক্রম প্রসঙ্গে জানতে চাইলে ডপস এর নির্বাহী পরিচালক উজ্জ্বল চক্রবর্তী জানান, প্রাণঘাতি করোনাভাইরাসের কারণে নিম্ন ও মধ্যবিত্ত পরিবার ছাড়াও সমাজের পিছিয়েপড়া অবহেলিত জনগোষ্ঠী কষ্টে রয়েছে। বিশেষ করে জাতিগত সংখ্যালঘু ও দলিত পরিবার বিভিন্নভাবে সুযোগ সুবিধা থেকে বঞ্চিত। এ সংকটকালে এই জনগোষ্ঠীর ২ হাজার পরিবারের মধ্যে খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করা হচ্ছে। প্রথম দিনে রংপুর সদরে ৯০০ পরিবারকে খাদ্যসামগ্রীর প্যাকেট দেওয়া হয়েছে।
তিনি আরও জানান, এরপর ৮-১০ জুলাইয়ের মধ্যে মিঠাপুকুর উপজেলার ১১০০ পরিবারকে একই সহায়তা পৌঁছে দেওয়া হবে। সহায়তা হিসেবে দেওয়া প্রতিটি প্যাকেটের মধ্যে ১২ কেজি চাল, ২ কেজি মসুর ডাল, ২ কেজি আটা, ২ লিটার সয়াবিন তেলসহ এক কেজি করে লবণ, চিনি ও চিড়া রয়েছে। সঙ্গে এক কেজি করে জীবাণুনাশক ডিটারজেন্ট পাউডার ও ছয়টি করে সাবান রয়েছে।
ফরহাদুজ্জামান ফারুক/এমএএস