নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে সজীব গ্রুপের অঙ্গপ্রতিষ্ঠান হাসেম ফুড অ্যান্ড বেভারেজের ফুডস ফ্যাক্টরিতে (সেজান জুসের কারখানা) অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় নিখোঁজদের স্বজনদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে যোগাযোগের অনুরোধ জানিয়েছেন ফায়ার সার্ভিসের ডিরেক্টর অব অপারেশন লে. কর্নেল জিল্লুর রহমান। 

তিনি বলেন, যারা স্বজনদের খোঁজ পাচ্ছেন না তাদের অনুরোধ করবো একটু ঢাকা মেডিকেলে যোগাযোগ করবেন। জেলা প্রশাসন ও ফায়ার সার্ভিসের পক্ষ থেকে এটি আমাদের অনুরোধ। সেখানে আমাদের জেলা প্রশাসন, ফায়ার সার্ভিস, পুলিশ সবার প্রতিনিধি থাকবে। সেখানে আমাদের আনুসাঙ্গিক নিয়মাবলী পালন শেষে মরদেহ স্বজনদের কাছে বুঝিয়ে দেওয়া হবে।

শুক্রবার (০৯ জুলাই) দুপুরে কারখানা থেকে ৪৯ জনের মরদেহ উদ্ধারের পর সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে লে. কর্নেল জিল্লুর রহমান এসব কথা বলেন। 

তিনি আরও বলেন, গতকাল বিকেল ৬টা ১০ মিনিটে আমাদের কাজ শুরু হয়। রাত সাড়ে ১২টার মধ্যে আমরা আগুন কমিয়ে আনি। পরে আবার বেড়ে যায়। এখানে গোডাউন ছিল এবং প্রতিটি ফ্লোরে কাঁচামালে বোঝাই ছিল। আমরা এখন পর্যন্ত ৪৯ জনের মরদেহ উদ্ধার করেছি। এখনো আমাদের কাজ চলছে।  

ফায়ার সার্ভিসের ডিরেক্টর অব অপারেশন লে. কর্নেল জিল্লুর রহমান, ভেতরে অনেক জটলা থাকায় আটকে পড়ারা দ্রুত বের হতে পারেননি। এক্সিটের দিকে আগুন থাকায় কেউ বের হতে পারেনি। ২৫ জনকে আমরা জীবিত উদ্ধার করি এবং যারা মারা গেছে তাদের এক্সিটে আগুন থাকায় কেউ ছাদেও যেতে পারেননি, নামতেও পারেননি। ৫ তলা ও ৬ তলায় আমাদের তল্লাশি বাকি রয়েছে। আগুন নিভলে আমরা তল্লাশি করবো। সেখানেও মরদেহ থাকতে পারে।  

এর আগে বৃহস্পতিবার (০৮ জুলাই) বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে রূপগঞ্জের ভুলতার কর্ণগোপ এলাকায় সজীব গ্রুপের অঙ্গপ্রতিষ্ঠান হাসেম ফুড অ্যান্ড বেভারেজের ফুডস ফ্যাক্টরির (সেজান জুসের কারখানা) ছয়তলা ভবনের নিচতলা থেকে আগুনের সূত্রপাত ঘটে। এ সময় প্রাণ বাঁচাতে ভবনটি থেকে লাফিয়ে পড়েন শ্রমিক স্বপ্না রানী (৪৫) ও মিনা আক্তার (৩৩)। ঘটনাস্থলেই তাঁরা দুজন মারা যান। এরপর মোরসালিন (২৮) নামের একজন শ্রমিক প্রাণ বাঁচাতে ওই ভবনের তৃতীয় তলা থেকে লাফ দেন। মোরসালিনকে রাত ১১টার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। কারখানা থেকে শুক্রবার আরও ৪৯ জনের মরদেহ উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিস। 

আরএআর