মাইকে বারবার ঘোষণা দেওয়ার পরও মানছে না কেউই

খাগড়াছড়িতে করোনা প্রতিরোধে ভ্যাকসিন নিতে লম্বা লাইনে জড়ো হয়েছে মানুষ। স্বাস্থ্যবিধি মানছে না সাধারণ জনগণ। এতে করোনা সংক্রমণ বাড়তে পারে বলে মন্তব্য সচেতন মহলের। রোববার (১১ জুলাই) সকাল সাড়ে ৮টা থেকে শুরু হওয়া জেলা সদর হাসপাতালের পাশে ভ্যাকসিন দেওয়া কেন্দ্রে এমন দৃশ্যের দেখা মেলে।

জানা গেছে, সকাল থেকে শুরু হয়েছে ভ্যাকসিন দেওয়া। কিন্তু সাধারণ জনগণ কোনো প্রকার স্বাস্থ্যবিধির তোয়াক্কা বা সামাজিক দূরত্ব মানেননি। তারা তাদের মতো করেই যে যেখানে ইচ্ছে দাঁড়িয়ে আছে। এদিকে মাইকে বারবার স্বাস্থ্যসচেতনতা মানার ঘোষণা দেওয়ার পরও কোনো প্রকার সচেতন হচ্ছে না কেউই।

ভেকসিন কেন্দ্রে দায়িত্বে থাকা যুব রেড ক্রিসেন্ট ইউনিটের যুব প্রধান শাহাজউদ্দীন খন্দকার ঢাকা পোস্টকে বলেন, আমরা টিকা প্রদান কেন্দ্রে শুরু থেকেই কাজ করছি। আমরা সব সময় বলি সবাইকে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার জন্য। কিন্তু অনেকেই স্বাস্থ্যবিধি না মেনে দাঁড়িয়ে থাকে। আমাদের ভলান্টিয়াররা কাজ করছেন সচেতন করতে। কিন্তু কিছু লোক সচেতন না হওয়ার কারণে কথা শুনছে না। এতে আমরাও ঝুঁকির সম্মুখীন হচ্ছি।

ভ্যাকসিন কেন্দ্রে আসা ইসমাইল হোসেন সবুজ বলেন, আমি নিজেই আমার স্ত্রীকে নিয়ে এসেছি ভ্যাকসিন দিতে। এখানকার যে পরিস্থিতি, কেউ স্বাস্থ্যবিধি মানছে না। যদি এই সময়ে মানুষ সামাজিক দূরত্ব বজায় না রাখে, তাহলে খুব অল্প সময়ে করোনাভাইরাস আরও বাড়বে। কেউ এই মহামারি থেকে রক্ষা পাবে না। তাই সবার উচিত যে যার অবস্থান থেকে সচেতন হওয়া।

খাগড়াছড়ি আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. রিপল বাপ্পি চাকমা ঢাকা পোস্টকে বলেন, করোনার ভ্যাকসিন নিতে এসে যদি কেউ আক্রান্ত হয়, এটা আমাদের জন্য দুর্ভাগ্য। সবাইকে স্বাস্থ্যবিধি মানতে হবে। আমরা বলে দিয়েছি যারা ভ্যাকসিন নিতে আসবে, তারা যেন সঠিকভাবে স্বাস্থ্যবিধি মেনে টিকা গ্রহণ করে। এরপরও অনেকে মানছে না। এই জেলার মানুষ সচেতনভাবে না চলার কারণে হুমকির মুখে পড়ছে সবাই।

প্রসঙ্গ, খাগড়াছড়ি জেলা সদর হাসপাতালে ১ তারিখ থেকে এ পর্যন্ত সর্বমোট মৃত্যুবরণ করেছে ৭ জন। তার মধ্যে ৩ জন পজিটিভ ও ৪ জন উপসর্গ নিয়ে। গত ১০ দিনে ৩৯১ জনের নমুনা পরীক্ষা করে আক্রান্ত হয়েছে ১৬০ জন পজিটিভ। বর্তমানে ভর্তি রয়েছে ৩৬ জন রোগী। এর মধ্যে ২৪ জন পজিটিভ ও ১২ জন সন্দেহজনক।

মো. জাফর সবুজ/এনএ