ড্রেন নির্মাণের সময় দেয়াল ধসে ২ শ্রমিকের মৃত্যু
নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের বন্দর এলাকায় ড্রেনের নির্মাণকাজ করার সময় দেয়াল ধসে দুই শ্রমিক নিহত হয়েছেন। মঙ্গলবার (১৩ জুলাই) দুপুর ১টার দিকে বন্দরের উত্তর লক্ষণখোলা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন- হৃদয় হোসেন (৩০) ও দুলালী বেগম (৩৬)। এ সময় মিম আক্তার নামে অপর এক শ্রমিক আহত হয়েছেন।
বিজ্ঞাপন
স্থানীয়রা অভিযোগ করেন, কাজের ঠিকাদার কোনো নিরাপত্তা ব্যবস্থা না নিয়েই ড্রেনের কাজ করানোর সময় পাশের একটি প্রাইমারি স্কুলের দেয়াল ধসে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
ড্রেন নির্মাণ কাজে নিয়োজিত জাহেদা বেগম নামে এক নারী শ্রমিক জানান, সকাল থেকে তারা ১১ জন শ্রমিক ড্রেন নির্মাণে কাজ করছিলেন। দুপুর ১টার দিকে ড্রেনের পাশে উত্তর লক্ষ্মণখোলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সীমানা প্রাচীরটি হৃদয়, মিম ও দুলালী নামে তিন শ্রমিকের ওপর ধসে পড়ে। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিস ও পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে উদ্ধার কাজ শুরু করে। গুরুতর আহত শ্রমিকদের প্রথমে বন্দর উপজেলা স্বস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখান থেকে তাদেরকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।
বিজ্ঞাপন
এদিকে শ্রমিকদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া চান মিয়া জানান, ঠিকাদারের মাধ্যমে তারা ১১ জন নারায়ণগঞ্জ বন্দর থানার উত্তর লক্ষ্মণখোলা এলাকার একটি স্কুল সংলগ্ন রাস্তার পাশে ড্রেনের কাজ করছিলেন। মাটি খনন করার সময় পাশের দেয়ালটি হঠাৎ তাদের ওপর ধসে পড়ে। আহতদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে দায়িত্বরত চিকিৎসক দুইজনকে মৃত ঘোষণা করেন।
নিহত দুলালীর স্বামী আলতাফ হোসেন জানান, তারা স্বামী-স্ত্রী একসঙ্গে কাজ করছিলেন। দুপুরে কাজ করার সময় তার স্ত্রী দেয়ালের নিচে চাপা পড়েন। তাদের বাড়ি গাইবান্ধা সদর উপজেলার ঘাট লক্ষ্মীপুর গ্রামে। তারা ওই এলাকাতেই থাকতেন।
এদিকে ঘটনার পর থেকে ওই ঠিকাকারের মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়া যাচ্ছে। বাড়িতে গিয়েও গণমাধ্যমকর্মীরা তার দেখা পাননি।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল পুলিশ ক্যাম্পের পরিদর্শক মো. বাচ্চু মিয়া জানান, দেয়াল চাপার ঘটনায় নারায়ণগঞ্জ থেকে তিনজনকে হাসপাতালে আনা হলে দুজনকে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। আরেকজনকে গুরুতর অবস্থায় ভর্তি করা হয়েছে। তার চিকিৎসা চলছে।
এ ব্যাপারে বন্দর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দিপক চন্দ্র সাহা জানান, উত্তর লক্ষ্মণখোলা এলাকায় সড়কে ড্রেন নির্মাণকাজ করছিলেন রাসেল নামে এক ঠিকাদার। ঘটনাস্থলে পুলিশ তদন্ত করছে। ঠিকাদারের কোনো অবহেলা বা ত্রুটির কারণে এ দুর্ঘটনা ঘটেছে কিনা তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এ ঘটনায় এখনো কেউ কোনো অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে মামলা নেওয়া হবে।
রাজু আহমেদ/আরএআর