যশোর শিশু উন্নয়ন কেন্দ্রে ভাঙচুর
৩ বন্দির সন্ধান নেই, মামলায় আসামি ১১
ফাইল ছবি
যশোর শিশু উন্নয়ন কেন্দ্রে ভাঙচুর ও বিক্ষোভের ঘটনায় পালিয়ে যাওয়া তিন বন্দির সন্ধান মেলেনি এক সপ্তাহেও। তাদের পরিবারের লোকজন বলছেন, তারা বাড়িতে আসেনি। এদিকে, কেন্দ্র ভাঙচুরের ঘটনায় বৃহস্পতিবার (১৫ জুলাই) রাতে কোতোয়ালি থানায় ১১ বন্দির নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাত আরও ৩০ জনের নামে মামলা রেকর্ড হয়েছে।
মামলা করেন কেন্দ্রের সহকারী পরিচালক জাকির হোসেন। তিনি এর আগে ভাঙচুরের রাতে পালিয়ে যাওয়া তিন বন্দির বিষয়ে থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন। ১০ জুলাই রাতে শিশু উন্নয়ন কেন্দ্রে ব্যাপক ভাঙচুর করেন বিক্ষুব্ধ বন্দিরা। পরে জেলা প্রশাসনের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি শান্ত হয়। ওই রাতে তিন বন্দি পালিয়ে যায়।
বিজ্ঞাপন
মামলার আসামিরা হলেন ঢাকার দক্ষিণ কেরানীগঞ্জের খেঁজুরবাগ এলাকার রাধা মজুমদার, খুলনার চানমারি বাজার এলাকার আব্দুল আহাদ, ফরিদপুরের মধ্য আলীপুর গ্রামের রাকিব হোসেন, শেনকাইল গ্রামের তানজীদ শেখ, রংপুরের কাউনিয়া পূর্ব চানঘাট এলাকার সাগর মিয়া, চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গার খাদিমপুর গ্রামের সাকিব হোসেন।
এছাড়া রাজশাহীর বোয়ালিয়ার বড়বটতলা এলাকার সাব্বির হোসেন, খুলনার সোনাডাঙ্গার আবু সাঈদ ওরফে আসিফ ওরফে হাসিব, গোপালগঞ্জের কাশিয়ানীর শাহ আলম শিকদার, মেহেরপুরের গাংনীর নওদাপাড়া গ্রামের সজীব আহম্মেদ এবং কুমিল্লার বুড়িচংয়ের ছাত্রা গ্রামের উজ্জ্বল আসামি হিসেবে রয়েছেন।
বিজ্ঞাপন
যশোর শিশু উন্নয়ন কেন্দ্রের সহকারী পরিচালক জাকির হোসেন বলেন, ওই রাতে (১০ জুলাই) বন্দিরা কেন্দ্রের সিসি ক্যামেরা, বৈদ্যুতিক বাল্ব, টেলিভিশন, আসবাবপত্র, দরজা, জানালা, কলাপসিবল গেট ভাঙচুর করেছে। বৃহস্পতিবার কোতয়ালি থানায় এজাহার দিয়েছি।
তিনি আরও বলেন, তিন বন্দি পালিয়ে যাওয়ার ঘটনায় নিয়মানুযায়ী থানায় সাধারণ ডায়েরি করা হয়েছে। এখনো তাদের সন্ধান মেলেনি। পরিবারে খোঁজখবর নিয়েছি, তারা বাড়িতে যায়নি।
কোতয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তাজুল ইসলাম বলেন, কেন্দ্রের সহকারী পরিচালকের দেওয়া এজাহার বৃহস্পতিবার রাতে মামলা হিসেবে রেকর্ড করা হয়েছে।
জাহিদ হাসান/এমএসআর