ফুলবাড়ী উপজেলা ছাত্রলীগের সদস্যরা লাশের দাফনকার্য সম্পাদন করেন

হাসপাতাল থেকে লাশ বাড়িতে নেওয়ার মতো টাকা-পয়সা আমাদের নেই। তাছাড়া লাশ দাফন করতেও খরচ আছে। আমাদের নিজেরই তো থাকার জায়গা নেই, লাশ নিয়ে করব কী? তাই ইনারাই কবরস্থানে লাশ দাফন করলেন।

শনিবার (১৭ জুলাই) রাতে কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী কবরস্থানে ফাতেমা বেওয়া (৫২) নামের এক নারীর মরদেহ দাফন শেষে একথা বলেন তার ভাই ইনসান আলী। তিনি ও তার ভাই দানেশ আলী জানান, ফুলবাড়ী উপজেলা ছাত্রলীগের সদস্যরা লাশের দাফনকার্য সম্পাদন করেছেন।

তারা জানান, উপজেলার দাশিয়ারছড়ার সমন্বয় পাড়া এলাকার মৃত বানু মামুদের মেয়ে ফাতেমা বেওয়া (৫২)। তার স্বামীর বাড়ি লালমনিরহাটের ছিনাই এলাকায়। অভাবের সংসার। এক ছেলে ও এক মেয়ের বিয়ে হয়ে গেলে দুসন্তানই ঢাকায় চলে যান। সেখানে তারা গার্মেন্টসে কাজ করেন। বছর খানিক আগে স্বামী আজাহার আলী মারা গেলে ফাতেমা বেগম তার বাবার বাড়িতে ভাইদের কাছে চলে আসেন। 

ফাতেমার ভাই ভ্যানচালক ইনসান আলী, হোটেলশ্রমিক দানেশ আলী ও দিনমজুর ইউনুস আলী। ভাইয়েরাও একদম গরিব হওয়ায় প্রায় তিন মাস আগে ফাতেমার ঠিকানা হয় ফুলবাড়ী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স। সেখানে দীর্ঘদিন থাকার পর শনিবার বিকেলে মারা যান তিনি। 

ফাতেমার মৃত্যুর পর তার পরিবারের সঙ্গে কথা বলেন ফুলবাড়ী উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক মেহেদী হাসান। পরে উপজেলা ছাত্রলীগের সদস্যদের সাথে নিয়ে লাশ দাফনের উদ্যোগ গ্রহণ করেন। রাত দশটায় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স মসজিদের সামনে জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। শেষে ফুলবাড়ী কবরস্থানে লাশ দাফনকার্য সম্পন্ন হয়। 

মো. জুয়েল রানা/এইচকে