সাভারে সেরা নারী উদ্যোক্তার কারখানা দখলের অভিযোগ
অষ্টম জাতীয় এসএমই পণ্যমেলা- ২০২০ এ বর্ষসেরা শ্রেষ্ঠ এসএমই উদ্যোক্তা হিসেবে প্রধানমন্ত্রীর কাছ থেকে পুরস্কার গ্রহণ করেন রেজবিন বেগম
সাভারের আশুলিয়ায় সেরা নারী উদ্যোক্তা পুরস্কারপ্রাপ্ত রেজবিন বেগমের মালিকানাধীন পিপলস সু কারখানা দখলের অভিযোগ উঠেছে একটি চক্রের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় রোববার (১৮ জুলাই) রাতে ওই নারী উদ্যোক্তা প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ চেয়ে ফেসবুকে লাইভ করার পর বিষয়টি নিয়ে চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে।
সূত্রে জানা যায়, পিপলস সু’র স্বত্বাধিকারী রেজবিন বেগম সু-মেকার নামে একটি যৌথ মালিকানাধীন কারখানায় সাব-কন্ট্রাক্টে কাজ করতেন। দীর্ঘদিন সেখানে কাজ করার একপর্যায়ে কারখানাটির ম্যানেজিং ডিরেক্টর রেজাউল করিমের কাছ থেকে কারখানার যন্ত্রপাতি ক্রয় করে নেন রেজবিন। এরপর ডকুমেন্টস না করেই উৎপাদন শুরু করেন পিপলস সু নামে কারখানাটি। পরবর্তীতে বাকি অংশীদাররা যন্ত্রপাতিতে অংশীদারিত্ব দাবি করেন। ওই নারী উদ্যোক্তা বিষয়টি মেনে না নিলে তারা কারখানা দখলের চেষ্টা করেন।
বিজ্ঞাপন
ভুক্তভোগী নারীর স্বামী হাফিজুর রহমান বলেন, আমরা গত ২৫ জানুয়ারি আশুলিয়ার শ্রীখন্ডিয়া এলাকার সু-মেকার লিমিটেড কারখানার যন্ত্রপাতি নিয়ম মেনে ক্রয় করি। বেশ কিছু দিন ধরে আমরা সেই যন্ত্রপাতিতে কাজ করছিলাম। কিন্তু সু-মেকার লিমিটেড কারখানার মালিক মোহাম্মদ রেজাউল করিমের আরও একটি প্রতিষ্ঠান ছিল, যা আমাদের জানা ছিল না। তারা চার বন্ধু মিলে ভেরন নিট নামে একটি প্রতিষ্ঠান পরিচালনা করেন।
তিনি আরও বলেন, সেরা উদ্যোক্তা হওয়ার পর প্রধানমন্ত্রীর হাত থেকে পুরস্কার গ্রহণ করেন রেজবিন। পরে আমাদের ক্রয়াদেশ বেড়ে গেলে যন্ত্রপাতি সংকট হয়। সংকট থেকে উত্তরণের জন্য সু-মেকার লিমিটেড কারখানার কাছ থেকে সমস্ত যন্ত্রপাতি নিয়ম মেনে ক্রয় করে উৎপাদন শুরু করি। পরে ভেরন নিটের বাকি অংশীদার সালমান হায়দার, ফয়সাল হায়দার ও শাহীন সন্ত্রাসী ভাড়া করে আমাদের কারখানা দখলের চেষ্টা করছেন।
বিজ্ঞাপন
হাফিজুর রহমান বলেন, গত ২২ জুন রাত ৯টার দিকে ২০ থেকে ২২ জনের একটি বাহিনী আমাদের কারখানায় প্রবেশ করেন। তারা খুব উগ্র ছিলেন, আমাদের লোকজনের সঙ্গে খুব বাজে ব্যবহার করেছেন। আমরা ৯৯৯ নম্বের কল করলে কারখানায় পুলিশ আসে। তারা দুই ঘণ্টার মতো থেকে পুলিশের সঙ্গে কথা না বলে স্থানীয় এক নেতার সঙ্গে কথা বলে চলে যান। এ ঘটনায় আমরা কয়েকবার বসেছি। তারা কোনো প্রকার ডকুমেন্টস দেখাতে পারেননি।
এদিকে বাকি অংশীদার সালমান হায়দার, ফয়সাল হায়দার ও শাহীনের দাবি, বার বার থানায় বসার তারিখ নির্ধারণ হলেও রেজবিন থানায় উপস্থিত হননি।
এ ব্যাপারে আশুলিয়া থানার পরিদর্শক (তদন্ত) জিয়াউল ইসলাম বলেন, দুই পক্ষই থানায় অভিযোগ দায়ের করেছে। ঈদের পর বিষয়টি নিয়ে বসার কথা ছিল। তার আগেই ঝামেলা হয়েছে। আমরা বিষয়টি সমাধানের চেষ্টা করছি।
মাহিদুল মাহিদ/আরএআর