ঈদুল আজহা কেন্দ্র করে চাঁদপুরে ২২৫ স্থানে বসেছে কোরবানির পশুর হাট। কঠোর লকডাউন শিথিল করার পর থেকেই বিভিন্ন স্থানে শুরু হয় কোরবানির হাট। তবে অধিকাংশ পশুর হাটেই ছিল না স্বাস্থ্যবিধি। ক্রেতা-বিক্রেতার মুখে নেই মাস্ক। চলছে বেচাকেনা।

এতে করোনা সংক্রমণের ঝুঁকি আরও বাড়ছে। যদিও হাট কমিটির পক্ষ থেকে স্বাস্থ্যবিধি মানার জন্য পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। কিন্তু সেই নিয়ম-নীতি মানতে নারাজ অনেকেই।

সোমবার (১৯ জুলাই) চাঁদপুর সদর উপজেলার সফরমালী হাটে দেখা যায়, ক্রেতা-বিক্রেতার উপচে পড়া ভিড়। বিভিন্ন স্থান থেকে হাজার হাজার পশু নিয়ে আসা হয়েছে এই হাটে। অধিকাংশ বিক্রেতার মুখে নেই মাস্ক। জেলা প্রশাসনের ভ্রম্যমাণ আদালত কিংবা পুলিশের কোনো টহল টিমকে হাটে দেখা যায়নি।

মুখে মাস্ক না রাখার বিষয়ে সফরমালী হাটে মাসুম নামের এক বিক্রেতা বলেন, ‘সারাদিন রোধের মধ্যে দাঁড়িয়ে থাকতে হয়। মাস্ক পকেটেই কিন্তু দম নিতে কষ্ট হয়, তাই ব্যবহার করি না।’

আপনারা বলেছেন, এখন থেকে মাস্ক পরে থাকব। ইদ্রিস নামের আরেক বিক্রেতা বলেন, ‘মাস্ক না পরলেও আমাদের কিছু হবে না। আমরা সারাদিন কষ্ট করি, করোনায় আমাদের ধরবে না।’

চাঁদপুর পৌরসভার ১২ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর হাবিবুর রহমান দর্জি বলেন, সফরমালী হাটে সোমবারই শেষ হাট, তাই এই হাটে এসেছি। প্রচুর গরু উঠেছে। দামও কিছুটা সহনশীল। তবে বেশির ভাগ মানুষ মাস্ক ছাড়া ঘুরাফেরা করছে।

চাঁদপুর সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সানজিদা শাহনাজ বলেন, সদরের প্রত্যেক হাটে আমি নিজে গিয়ে সচেতন করে এসেছি। হাটে মাইকিং করেও সচেতন করা হচ্ছে। সাধারণ মানুষ যদি সচেতন না হয়, আমরা কীভাবে সচেতন করব।

শরীফুল ইসলাম/এমএসআর